ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

চট্টগ্রামে কর্মকর্তাদের জন্য সরকারের ২৪৯৬ ফ্ল্যাট

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১০৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১৯
চট্টগ্রামে কর্মকর্তাদের জন্য সরকারের ২৪৯৬ ফ্ল্যাট

ঢাকা: চট্টগ্রামের সরকারি কর্মকর্তাদের ৭২টি পরিত্যাক্ত বাড়িতে প্রথম ধাপে ২৪৯৬টি ফ্ল্যাট নির্মাণের দু’টি পৃথক প্রস্তাবসহ ৭টি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এতে মোট ব্যয় হবে ৪৬৩ কোটি ৫১ লাখ টাকা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) মন্ত্রিপরিষদ সম্মেলন কক্ষে কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে প্রস্তাবগুলোর অনুমোদন দেওয়া হয়।

সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির চেয়ারম্যান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বিদেশে থাকায় কৃষিমন্ত্রী বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন।

বৈঠক শেষে অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর বিভিন্ন দিক তুলে ধরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নাসিমা বেগম সাংবাদিকদের বলেন, গণর্পূত অধিদপ্তর র্কতৃক বাস্তবায়নাধীন চট্টগ্রামের ৩৬টি পরত্যিক্ত বাড়িতে সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারীদের জন্য আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ র্শীষক প্রকল্পের আওতায় চট্টগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় ১০ তলা আবাসিক ভবন নির্মাণের একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রথম ধাপে এতে ১২৫০, ১০০০, ৮০০ স্কয়ারফুটের মোট ১২৪৮টি ফ্ল্যাট হবে।  এই ভবনগুলো নির্মাণে ব্যয় হবে ১০১ কোটি ৬১ লাখ ৪৬ হাজার টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে মেসার্স নূরানী কন্সট্রাকশন লিমিটেড নামের একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান।

তিনি আরও বলেন, একই প্রকল্পের আওতায় অপর একটি প্রস্তাব চট্টগ্রামে ৩৬টি পরিত্যক্ত বাড়িতে ১২ তলা আবাসকি ভবন নির্মাণ র্শীষক প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রথম ধাপে এতে ১২৫০, ১০০০, ৮০০ স্কয়ারফুটের মোট ১২৪৮টি ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হবে। প্রকল্পের একটি প্যাকজের আওতায় ৫টি দরপত্র বিক্রি হলেও ১টি দরপ্রস্তাব পাওয়া যায়। টিইসি কর্তৃক সুপারিশকৃত রেসপনসিভ একমাত্র দরদাতা প্রতিষ্ঠান মেসার্স জামাল অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেডের নাম প্রস্তাব করে। কমিটি প্রস্তাবটিতে অনুমোদন দিয়েছে। প্রকল্পে ব্যয় হবে ১০৬ কোটি ২০ লাখ ৭০ হাজার টাকা।

বৈঠকে অনুমোদিত অন্য প্রস্তাবগুলো হলো- বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিউবো) আওতাধীন বিতরণ অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত (সিলেট, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহ) ৪টি শহরে আন্ডারগ্রাউন্ড ক্যাবল ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্ক সিস্টেম স্থাপন কাজের সম্ভাব্যতা যাচাই প্রাক্কলন ও ডিপিআর প্রস্তুতকরণের জন্য পরামর্শক নিয়োগের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে। প্রকল্পে ব্যয় হবে ২৫ কোটি ৩১ লাখ টাকা। অস্ট্রেলিয়ার নলেজ ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে পরামর্শক সেবা নেওয়া হবে।

স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের নিয়ন্ত্রণাধীন ১৩ হাজার ৭২৪টি কমিউনিটি ক্লিনিকে ওষুধ সরবরাহের জন্য কমিউনিটি বেইজড হেলথ (সিবিএইচসি) অপারেশনাল প্ল্যানে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে জিওবি (উন্নয়ন) খাতের আওতায় সরকারি প্রতিষ্ঠান অ্যাসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড থেকে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ২৭ প্রকার ওষুধ ক্রয়ের প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। সরকারি প্রতিষ্ঠান অ্যাসেনশিয়াল ড্রাগস এসব ওষুধ সরবরাহ করবে। এতে ৮৬ হাজার ৫০০ কার্টন ওষুধ কেনা হবে। প্রতি কার্টনের দাম ধরা হয়েছে ১৭ হাজার ৩৪০ টাকা। এ জন্য ব্যয় হবে ১৪৯ কোটি ৯৯ লাখ টাকা।

এছাড়া পর্যটন মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক পর্যটন পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগের জন্য ক্রয় প্রস্তাব বৈঠকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।  প্রকল্পটিতে ব্যয় হবে ২ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। ভারতের আইপিই গ্লোবাল লিমিটেডের সঙ্গে ফ্রান্স ও বাংলাদেশের একটি প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে পরামর্শক সেবা দেবে।

বৈঠকে দু’টি প্রস্তাব টেবিলে উপস্থাপন করা হয়। একটি হচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে দুটি লটে ২৫ হাজার টন ইউরিয়া সার আমাদানির একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রতি টন সারের দাম ২৪৪ দশমিক ২৫ ডলার হিসেবে বাংলাদেশি টাকায় ব্যয় হবে ৫১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। এর আগে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে আমদানি করা ইউরিয়া সারের একটি প্রস্তাবের বিষয়ে বৈঠকে অবহিতকরণ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১৯
জিসিজি/এইচএডি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।