ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

দেশজুড়ে চলছে ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান মালিক-শ্রমিকদের কর্মবিরতি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১৯
দেশজুড়ে চলছে ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান মালিক-শ্রমিকদের কর্মবিরতি

ঢাকা: নতুন সড়ক পরিবহন আইন সংশোধনসহ নয় দফা দাবিতে বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান পণ্য পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি চলছে।

বুধবার (২০ নভেম্বর) সকাল ৬টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য দেশব্যাপী এ কর্মবিরতি শুরু হয়েছে।

কর্মবিরতির ফলে রাজধানীর তেজগাঁও ট্রাক স্ট্যান্ডে ছোট বড় সব ধরনের পণ্য পরিবহন থেকে বিরত রয়েছে মালিক ও শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।

 

এসময় তেজগাঁও ট্রাক স্ট্যান্ড থেকে দাবি-দাওয়া আদায়ের লক্ষ্যে বেশ কিছু খণ্ড মিছিল করতে দেখা যায় শ্রমিকদের। ফলে তেজগাঁও ট্রাক স্ট্যান্ডের আনিসুল হক সড়কে যানবাহন চলাচল একেবারেই কম দেখা যায়।

ট্রাক-কাভার্ড ভ্যানচালক আব্দুল হালিম ধর্মঘটের বিষয়ে বাংলানিউজকে বলেন, আমি তিন বছর হেলপারি (চালকের সহকারী) করেছি, ২৭ বছর ধরে গাড়ি চালাই। কিন্তু সরকারের কাছে আমি একজন অযোগ্য ড্রাইভার। আমরা গাড়ি চালিয়ে জীবন চালাই। বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটিতে (বিআরটিএ) সব সময় যাওয়া সম্ভব নয়। তাই কারও না কারও মাধ্যমে আমাদেরকে লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে হয়। বিআরটিএতে দালাল ছাড়া আমাদের কোনো মূল্যই নেই।

তিনি আরও বলেন, ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যেতে আমাদের কম করে হলেও ২০০ জায়গায় পুলিশের হয়রানি এবং চাঁদাবাজির শিকার হতে হয়। আমাদের সঙ্গে পুলিশ ভালো ব্যবহার করেনা। আমাদের গাড়িটাও কোথাও রাখার জায়গা নেই। এখন রাস্তায় রাখলে ফাইন করে দেওয়া হয়। আমাদের বিশ্রামের কোনো জায়গা নেই। তাহলে আমরা যাব কোথায়? গাড়ি চালালে দুর্ঘটনা হবে না এমন কোনো নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারে না। তাই আমাদের দাবি, নতুন আইন থেকে মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাহার করা হোক। একইসঙ্গে আমাদেরকে যোগ্যতার ভিত্তিতে সঠিক লাইসেন্স দেওয়া করা হোক।

অন্যান্য ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বললে তারা বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের সঙ্গে কথা না বলেই নতুন সড়ক আইন বাস্তবায়ন করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আমাদের বৈঠক রয়েছে। তিনি যদি আমাদেরকে এই আইনটি বাতিল করার আশ্বাস দেন, তাহলে আমরা সঙ্গে সঙ্গে আমাদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নেব।

বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতির সভাপতি হাজী মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন মজুমদার বাংলানিউজকে বলেন, বিআরটিএ থেকে চালকদের হালকা ও মাঝারি যানবাহন চালানোর লাইসেন্স দেওয়া হয়। কিন্তু সেই লাইসেন্স দিয়ে এই বড় গাড়ি চালাতে পারেনা। ড্রাইভার যদি কোনো অ্যাক্সিডেন্ট করে তাহলে মামলার চার্জশিট না হওয়া পর্যন্ত তার জামিন হবে না।  

‘তাহলে তার পরিবারটাকে চালাবে কে? পরিবহন আইন করার আগে আমরা ১১১ দফা সুপারিশ দিয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের সুপারিশ অনুযায়ী আইন করা হয়নি। সেই কারণেই চালকরা কর্মবিরতি পালন করছে। আমাদের দাবি দাওয়া মেনে নিলেই আমরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করব,’ যোগ করেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১৯
আরকেআর/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।