ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সড়ক পারাপারে সচেতন করতে মেয়রের প্রচারাভিযান

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৯
সড়ক পারাপারে সচেতন করতে মেয়রের প্রচারাভিযান

ঢাকা: পথচারীদের মধ্যে সড়ক পারাপারে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম প্রচারাভিযান চালিয়েছেন। এতে ছিলেন চলচ্চিত্রাভিনেতা ও ‘নিরাপদ সড়ক চাই’র প্রতিষ্ঠাতা ইলিয়াস কাঞ্চন।

সোমবার (১৮ নভেম্বর) রাজধানীর মোহাম্মদপুরের আসাদ অ্যাভিনিউতে গ্রিন হেরাল্ড স্কুলের সামনে এ প্রচারাভিযান চালান মেয়র।
 
প্রচারাভিযানকালে ট্রাফিক আইন মেনে চলার বিষয়ে পথচারী ও গাড়িচালকদের মধ্যে প্রচারপত্র বিতরণ করেন আতিকুল ইসলাম ও ইলিয়াস কাঞ্চন।

তারা ট্রাফিক সিগন্যাল মেনে চলার বিষয়ে গাড়িচালকদের পরামর্শও দেন।  

গ্রিন হেরাল্ড স্কুলের সামনে ডিএনসিসি কর্তৃক স্থাপিত পুশ-বাটন চেপে সড়ক পার হওয়ার জন্য মেয়র পথচারী ও গাড়িচালকদের কাউন্সেলিং করেন। এসময় সিগন্যাল পয়েন্টে দাঁড়িয়ে পথচারীদের সচেতন করতে চার ধরনের লিফলেট বিতরণ করেন তিনি। এর মধ্যে চালকের জন্য বাংলা ও ইংরেজিতে লেখা দুই ধরনের, পথচারীদের জন্য এক ধরনের এবং ট্রাফিক আইন ও দণ্ডসমূহ সম্পর্কে অবগত করতে আরেক ধরনের লিফলেট বিতরণ করা হয়।
 
প্রচারাভিযানকালে মেয়র সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় কেউ আইন ভঙ্গ করে না। কারণ সেখানে আইন ভঙ্গ করলে বড় ধরনের জরিমানা ও শাস্তি পেতে হয়। কিন্তু একই চালক ক্যান্টনমেন্টের বাইরে এলে আইন অমান্য করেন। ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় এক ধরনের আচরণ এবং বাইরে আরেক ধরনের আচরণ হতে পারে না। সারাবিশ্বেই কঠোরভাবে আইন মানা হয়। সবখানেই আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রয়েছে। এর মূল কারণ আইন অমান্য করলে কঠিন শাস্তি এবং বড় অংকের জরিমানা গুনতে হয়।  

আতিকুল ইসলাম বলেন, মানুষ যেন আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয় এবং আইন মেনে চলে, সেজন্যই শাস্তি এবং জরিমানা বাড়িয়ে নতুন আইন করা হয়েছে।
 
মেয়র আরও বলেন, ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করার পর অনেকে ক্ষমতা প্রয়োগ করার চেষ্টা করেন। আইন ভঙ্গকারীরা নিজের বা পরিচিত ক্ষমতাবানদের পরিচয় দিয়ে পার পাওয়ার চেষ্টা করেন। এমন কর্মকাণ্ড থেকে জনগণকে বিরত থেকে আইন মেনে চলতে হবে।
 
চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা উন্নত করতে হলে আমাদের এ বিষয়ে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নিতে হবে। একসময় আমাদের দেশে সিনেমার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছিল না। এখন এর উন্নতি হচ্ছে, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বিষয়ে কোর্স চালু আছে। আমাদের দেশে এখন ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা চালু করতে হবে। রাস্তায় শুধু ট্রাফিক থাকলে হবে না। ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার জন্য ট্রাফিক ইঞ্জিনিয়ার থাকতে হবে। তাহলে সুস্থ ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা হবে।
 
প্রচারাভিযানকালে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম রতন, ডিএনসিসির ট্রাফিক ইঞ্জিনিয়ারিং সার্কেল ও পুলিশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৯
এমআইএস/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।