ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সড়ক আইন প্রয়োগে বাড়াবাড়ি না করতে নির্দেশ মন্ত্রীর

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৯
সড়ক আইন প্রয়োগে বাড়াবাড়ি না করতে নির্দেশ মন্ত্রীর

ঢাকা: নতুন সড়ক পরিবহন আইন প্রয়োগে কোনো প্রকার বাড়াবাড়ি না হয় সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সোমবার (১৮ নভেম্বর) সচিবালয়ে সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সেতুমন্ত্রী একথা বলেন।

আইন বাস্তবায়নে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা শুরু হয়েছে বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।


 
সড়কের নিরাপত্তা এবং শৃঙ্খলার স্বার্থে সংশ্লিষ্টদের আইন মেনে চলার জন্য অনুরোধ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, কোনো প্রকার ধর্মঘট-বন্ধ এসব থেকে বিরত থাকার জন্য আমি আহ্বান জানাচ্ছি।
 
আইন প্রয়োগে অযথা বাড়াবাড়ি না করতে আহ্বান জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, আইন প্রয়োগে যাতে কোনো অসুবিধা না হয়, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার অযথা হয়রানি কিংবা বাড়াবাড়ি বন্ধে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও ঊর্ধবতন পুলিশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করেছি যাতে কোনো ধরণের বাড়াবাড়ি না হয়।

অনেক জায়গায় পরিবহন ধর্মঘটের হুমকি দেওয়া হচ্ছে, আইনটি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের চাপ রয়েছে কিনা- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, যত চাপই থাকুক আইনটি বাস্তবায়ন করতেই হবে, এটি পার্লামেন্টের আইন, বাস্তবায়ন করতে হবে।

বিভিন্ন স্থানে ধর্মঘটের প্রস্তুতির খবরে মন্ত্রী বলেন, আমি সেটা জানি, তাদের সঙ্গে আমাদের সচিব আলোচনা করেছেন, আমিও কথা বলেছি, দেখেন না কী হয়। তাই বলে আইন প্রয়োগ না করে সরে যাবো এটি কি আপনারা চান? আপনারাও আমাকে সহযোগিতা করুন, তারা তো চাপ দেবেই।

সরকার গেজেট প্রকাশ করে ১ নভেম্বর থেকে সড়ক পরিবহন আইন কার্যকরের তারিখ ঘোষণা করে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, রোববার (১৭ নভেম্বর) থেকে মাঠ পর্যায়ে কার্যকর করা শুরু হয়েছে। সচেতনার জন্য প্রথমে সাতদিন পরে আরও সাতদিন সময় দিয়েছি। অনেকের আবেদন ছিল অনুরোধ করেছেন আরও বাড়ানোর জন্য। কোনো অবস্থাতেই বাড়াতে রাজি হইনি। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেছি, এতদিন আগে আইনটি হয়েছে বাস্তবায়ন না হলে জনস্বার্থের বিরুদ্ধে যাবে।

প্রথম পর্যায়ে আইনটি সহনীয়ভাবে কার্যকর করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, মোবাইল কোর্ট আইনের তফসিলে আইনটি সংযুক্ত করে রোববার গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে, সোমবার থেকে মোবাইল কোর্ট কার্যকর হচ্ছে।

পার্কিং সুবিধা, পথচারীদের হাটার জায়গা বা রিকশাচালকদের লাইসেন্স ছাড়া আইনটি কিভাবে বাস্তবায়ন হবে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এ আইন শুধুমাত্র ঢাকার জন্য নয়। ঢাকা সিটি করপোরেশনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, ডেঙ্গু পরিস্থিতির জন্য তাদের অন্য দিকে মনোযোগ ছিল। তারা শিগগিরই মিটিং করবে, আমি নিজেই মিটিং ডেকেছি।

মন্ত্রী বলেন, আইনটি আগের তুলনায় কঠোর করা হয়েছে। আইনটি কঠোর করার উদ্দেশ্য শাস্তি দেওয়া নয়, সবার কল্যাণে সড়ককে নিরাপদ করা ও দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনা। আইনটিতে একটি নতুন বিষয় যুক্ত করা হয়েছে তা হল চালকদের জন্য পয়েন্ট সিস্টেম, উন্নত বিশ্বের মতো। আইন অমান্য করলে চালকদের পয়েন্ট কর্তন করা হবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, পরিবহন মালিকদেরও আইনের আওতায় আনা হয়েছে, অভিযুক্ত যিনিই হোন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি ও তার পরিবারকে আর্থিক সহয়তার বিধান যুক্ত করা হয়েছে।
 
বিআরটিএ অতিরিক্ত সময় কাজ করছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিআরটিএতে ভিড় লেগেই আছে। বিআরটিএ জনবলও বাড়ছে, এ নিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১২০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৯
এমআইএইচ/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।