ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

৪৫ বছরের সমস্যা এক দিনে সমাধান হবে না: মেয়র সাদিক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০২৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৯
৪৫ বছরের সমস্যা এক দিনে সমাধান হবে না: মেয়র সাদিক বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ।

বরিশাল: বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ বলেছেন, আমি যে কাজ করি তা সুন্দরভাবে করার চেষ্টা করি। বরিশাল নগর ভবনের দুর্নীতি অনেকাংশেই রোধ করা সম্ভব হয়েছে। তবে মনে রাখতে হবে ৪৫ বছরের সমস্যা এক দিনে সমাধান হবে না। আর এতদিনের অভ্যাসও একদিনে পরিবর্তন ঘটবে না। তাই এজন্য সময় লাগবে। তা এক মাসেও হতে পারে আবার এক বছর কিংবা তার অধিক সময়েও হতে পারে।

শনিবার (১ নভেম্বর) বিকেল বরিশাল শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত প্রেসক্লাবে অনলাইন সংবাদপত্রের একটি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ বলেন, আমি মেয়র হওয়ায় অনেকের ক্ষতি হয়েছে, কারণ আমার চাওয়া-পাওয়া নেই।

আমি চাই নগরের উন্নয়ন এবং নগরবাসীর সেবা করতে। আমার নামে বদনাম করতে পারছে না, তাই বিভিন্ন অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। তবে এতে আমার কিছুই হবে না। কারণ আমি আমার জায়গা থেকে ঠিক আছি।

তিনি বলেন, আমি এক বছর সিটি করপোরেশনে সময় দিয়েছে, দলের পেছনেও দিতে পারিনি। তারপরও জনসম্মুখে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পেরেছি।

তিনি আরও বলেন, আমি বারবার বলেছি পুরাতন কারো সিটি কর বাড়ছে না। তবে নতুন করে যারা ভবন করছেন কিংবা অবকাঠামো পরিবর্তন করছেন তাদেরই শুধুমাত্র নতুন করে করের আওতায় আনা হচ্ছে। নগরের ৫৩ হাজার হোল্ডিং এর মধ্যে মাত্র তিন হাজার হোল্ডিং এ তালিকায় রয়েছে। কিন্তু অভিযোগ এসেছে যে পুরাতন বাড়ি, যাদের স্থাপনা পরিবর্তন হয়নি তাদেরও নাকি ট্যাক্স পুননির্ধারনের নোটিশ দেওয়া হচ্ছে। এমন অভিযোগ পাওয়ার পরে আমি নিজেই বিষয়টি খতিয়ে দেখা শুরু করেছি। খতিয়ে দেখতে গিয়ে দেখছি যার শুনানি করার কথা না, সেও শুনানি করছে। আমি দৃঢ় কণ্ঠে বলতে চাই নগরবাসীকে বাড়তি কোনো কিছু চাপিয়ে দেওয়ার সুযোগ নেই। কারো কোনো বিষয়ে অভিযোগ থাকলে জনসংযোগ কর্মকর্তা (পিআরও) মাধ্যমে আমার কাছে সরাসরি অভিযোগ করুন। আমি ব্যবস্থা নেবো।

বরিশাল সাংস্কৃতিক সমন্বয় পরিষদের সভাপতি কাজল ঘোষের সভাপত্বিতে অনুষ্ঠানে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান বলেন, আমরা চাই পজেটিভ পুলিশিং ব্যবস্থা। যা হবে জনমুখী, গণমুখী এবং গ্রহণযোগ্য। আমাদের ভালো মন্দ সাংবাদিকদের মাধ্যমে ফুটে উঠুক এটা আমরা চাই। সঙ্গে চাই পেশাদারিত্ব মনোভাব।  

তিনি বলেন, প্রেস অ্যান্ড পুলিশ উভয় শব্দের শুরুতে পি ওয়ার্ডটি রয়েছে। তাই যাই হোক না কেন দিন শেষে আমরা একই। সমাজ থেকে মাদক-সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দূর করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সাংবাদিক অ্যাডভোকেট এস এম ইকবাল, পুলক চ্যাটার্জী, কাজী মিরাজ মাহমুদ, কাজী আল মামুন, সমাজসেবক মাওলাদা হোসেন সানা  প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৯
এমএস/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।