ঢাকা, শুক্রবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সিডিএ কর্মকর্তা ও ঠিকাদারের বিরুদ্ধে দুদক’র অর্থ আত্মসাত মামলা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৫, ২০১০

চট্টগ্রাম: সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) ২৫ কর্মকর্তা ও তালিকাভুক্ত ঠিকাদারের বিরুদ্ধে পৃথক ১৩টি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।  

দুদক’র পাঁচজন উপ-সহকারী পরিচালক সিডিএ’র রোববার চান্দগাঁও থানায় মামলাগুলো দায়ের করেন।

মামলাগুলোতে সিডিএ’র ১২ কর্মকর্তা এবং ১৩ জন তালিকাভুক্ত ঠিকাদারকে আসামি করা হয়েছে।

মহানগরের চান্দগাঁও থানাধীন বাহির সিগনাল থেকে কালুরঘাট সেতু এলাকা পর্যন্ত সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের এক কোটি ২১ লাখ ৫৮ হাজার ৩শ’ ২২ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলাগুলো দায়ের করা হয়।

মামলায় অভিযুক্ত সিডিএ’র কর্মকর্তারা হলেন, প্রধান প্রকৌশলী মো. ইকবাল হোসেন মজুমদার, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী নূর হোসেন, নির্বাহী প্রকৌশলী মনজুর হাসান, এ এ এম হাবিবুর রহমান, সহকারী প্রকৌশলী নুরুল আমিন ভূঁইয়া, মো. ইলিয়াছ ও মো. ইলিয়াছ আক্তার, উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদমর্যাদার ইস্টিমেটর হামিদুল হক, ওসমান সিকদার, রূপম কুমার চৌধুরী ও গোলাম সরওয়ার এবং অর্থ ও হিসাবরণ কর্মকর্তা মো. নাজের।

অভিযুক্ত ঠিকাদাররা হলেন মেসার্স এস আই ইঞ্জিনিয়ার্সের জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, মেসার্স নাইস এণ্টারপ্রাইজের ইয়াকুব আলী চৌধুরী, মেসার্স আফসানা বিল্ডার্স এর আব্দুস সালাম, মেসার্স এম এম আলম ব্রাদার্সের নূরুল আলম, মেসার্স তায়িব ব্রাদার্সের মমতাছির মামুন, মেসার্স আমান কর্পোরেশনের মো.আমান, মেসার্স জসিম অ্যান্ড সন্সের জসিম উদ্দিন, মেসার্স ছালেহ জহুর বিল্ডার্সের সালেহ জহুর, জেসি এণ্টারপ্রাইজের নাছির উদ্দিন, মেসার্স মাসুদ অ্যান্ড কোম্পানির মো. মাসুদ, এসবি ট্রেডিং এর কাজী বেলাল উদ্দিন, মেসার্স নূর মোহাম্মদ সেনিটারি মার্টের নূর মোহাম্মদ এবং মেসার্স আশা কনস্ট্রাকশন্স এর নিতাই পদ চৌধুরী।  

মামলার পাঁচ বাদীর মধ্যে দুদকের উপপরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন, মো. রফিকুজ্জামান, রফিকুল ইসলাম তিনটি করে, ছাইফুল্লাহ মো. এমরান এবং খলিলুর রহমান সিকদার দুইটি করে মামলা করেছেন।

দুদকের উপ-পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্তে প্রকল্প থেকে অভিযুক্তদের যোগসাজশে এক কোটি ২১ ল ৫৮ হাজার ৩শ’ ২২ টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়া গেছে। একই প্রকল্প থেকে ৫৩ ল ৭০ হাজার একশ’ ৩১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে শিগগিরই আরও নয়টি মামলা দায়ের করা হবে। ’

এদিকে দুদক’র অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন অভিযুক্ত সিডিএ’র প্রধান প্রকৌশলী ইকবাল হোসেন মজুমদার।

তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রামের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি এবং সিডিএ’র বর্তমান চেয়রম্যানের কর্মকান্ডকে বাধাগ্রস্ত করতেই এ মামলা করা হয়েছে। ’

উল্লেখ্য, প্রধান প্রকৌশলী ইকবাল হোসেন মজুমদার, সহকারী প্রকৌশলী নুরুল আমিন ভূঁইয়া ও মো.ইলিয়াছ এর বিরুদ্ধে এক এগারোর পর একাধিক দুর্নীতির মামলা করেছিল দুদক। পরে ট্রুথ কমিশনের কাছে দায় স্বীকার করে তারা দুর্নীতির দায় থেকে অব্যাহতি পান।

বাংলাদেশ সময় ১৯২৫ ঘণ্টা,  ৫ সেপ্টেম্বর ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।