ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

যত্রতত্র অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি বন্ধে নির্দেশনা আসছে

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৩৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৯
যত্রতত্র অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি বন্ধে নির্দেশনা আসছে সংসদে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, ছবি: ফাইল ফটো

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার রোধে যত্রতত্র এর বিক্রি বন্ধ করতে সরকার অল্পদিনের মধ্যেই নির্দেশনা জারি করবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে মন্ত্রীদের নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে বিএনপির সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানার সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের অনুপুস্থিতিতে তার পক্ষে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী এ উত্তর দেন।

ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, আমাদের দেশের ফার্মেসিগুলো কোনো রকম প্রেসক্রিপশন ছাড়া বা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি করে। যে কারণে আমাদের অ্যান্টিবায়োটিক রেজিসটেন্স তৈরি হচ্ছে। সুপারবাথ তৈরি হচ্ছে। এতে অসুখ নিয়ন্ত্রণ করতে পারছি না। ডাক্তারের যথাযথ পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি বন্ধ করতে সরকার কী ব্যবস্থা নিয়েছে?

পরে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, অ্যান্টিবায়োটিকের যত্রতত্র ব্যবহারের কারণে রেজিসটেন্স তৈরি হচ্ছে। এটি সরকারের পক্ষ থেকে অত্যন্ত সুবিবেচনায় রেখেছি, কীভাবে অ্যান্টিবায়োটিকের যত্রতত্র ব্যবহারটা রোধ করা যায়। আমরা দেখছি, রোগীরা কয়েকটি অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের পর রেজিসটেন্স তৈরি হওয়ায় চিকিৎসা নিতে না পেরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে। কতগুলো ওষুধ আছে, যেগুলো লিগ্যাল প্রেসক্রিসশন ছাড়া ডিসপেনসারির দেওয়ার কথা না। যেমন ঘুমের ওষুধ প্রেসক্রিপশন ছাড়া দেওয়ার কথা না। ইতোমধ্যে আলোচনায় এসেছে, কেউ যথাযথ প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি করলে কঠোরতা জারি করা হবে। মানুষ কথায় কথায় অ্যান্টিবায়োটিক খাচ্ছে। যার জন্য যেটি প্রযোজ্য না, সেটিও খাচ্ছে। এতে নিজেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অবশ্যই সরকার বিষয়টি চিন্তা-ভাবনার মধ্যে রেখেছে। আমি আশা করছি অল্পদিনের মধ্যেই ওষুধ বিক্রেতাদের জন্য এ রকম একটি নির্দেশনা করা হবে।

আরও পড়ুন>> নতুন ডাক্তারদের প্রথম কর্মস্থলে ২ বছর থাকতে হবে

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৯
এসকে/এসই/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।