ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

দেশের কল্যাণে প্রয়োজনে বাবার মতো জীবন দেবো: শেখ হাসিনা 

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৩৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৯
দেশের কল্যাণে প্রয়োজনে বাবার মতো জীবন দেবো: শেখ হাসিনা 

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের মানুষের জন্য আমার জীবনটা উৎসর্গ করেছি। দেশের মানুষের কল্যাণে যা যা প্রয়োজন সবই করবো। প্রয়োজনে বাবার মতো আমার জীবনও যদি দিতে হয়, তাও আমি দেবো।

বুধবার (১৩ নভেম্বর) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আবেদীন খানের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য যা যা করণীয় আমরা তার সবই করে যাচ্ছি এবং করে যাবো।

এমন একটা সময় ছিল এদেশের মানুষ একবেলা খেতে পারতো না। খুব বেশি দিন আগের কথা নয়। ১০-১১ বছর আগের অবস্থার কথাটাই যদি আপনারা চিন্তা করেন। তখন দেশের অবস্থাটা কী ছিল? অন্তত এখন আর সেই অবস্থাটা নাই। আজ (বুধবার) ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ২৩টি উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন কার্যক্রম উদ্বোধন করলাম। ৭টি নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধন করলাম। এদের মধ্যে একটি উপজেলা একেবারে দুর্গম এলাকা।  

‘সেখানে এক বোন বললেন তার গ্রামে তিনি বিউটিফিকেশনের কাজ করেন। বিদ্যুৎ পাওয়ার কারণে এই কাজ আরও সহজ হবে। গত এক দশকে মানুষের অবস্থার এমন পরিবর্তন ঘটেছে যে, এখন একটি ইউনিয়ন পর্যায়েও বিউটিফিকেশনের কাজ হয়। নিজে খাওয়ার জন্য একটি মেয়ে কাজ করছে। শুনতেই ভালো লাগে যে, আমাদের পদক্ষেপের সুফলটা যে গ্রামগঞ্জে পৌঁছে গেছে, সেটাই সব থেকে বড় কথা। কাজেই আর কী কী দেবার আছে সেটা জানি না। তবে আমি বলতে পারি আমার জীবনটাকে উৎসর্গ করেছি বাংলাদেশের জনগণের জন্য। বাংলাদেশের মানুষের কল্যাণে যা যা প্রয়োজন সবই আমি করবো। প্রয়োজনে আমার জীবনও যদি দিতে হয় বাবার মতো, তাও আমি দেবো। ’

রুগ্ন শিল্পখাত ও যুবসমাজের কর্মসংস্থান প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের আরেক সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন খানের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রুগ্ন শিল্পকে শত চেষ্টা করেও আর চালু করা যাচ্ছে না। কাজেই সেগুলোর জন্য বিকল্প কিছু ব্যবস্থা আমাদের নিতে হচ্ছে। আমাদের বহু শিল্প কারখানা রয়েছে, সেখানে পর্যাপ্ত জায়গা আছে। সেসব জায়গায় এসব শিল্পের সঙ্গে যদি নতুন নতুন শিল্প স্থাপন বা বিনিয়োগ করার ব্যবস্থা করতে পারি তাহলে সেগুলো চালু হতে পারে, কর্মসংস্থান সৃষ্টি হতে পারে, এবং আমরা নতুন উদ্যোক্তা তৈরি করতে পারি। কাজেই রুগ্ন শিল্পের জায়গায় কীভাবে যথাযথ বিকল্প ব্যবস্থা কার্যকর করা যায়, সে বিষয়টি আমরা বিবেচনা করছি। এ ব্যাপারে আমরা আলোচনা করছি। ’

‘যেসব কারখানায় পর্যাপ্ত জায়গা আছে, সেখানে আধুনিক প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে নতুন শিল্প চালু করবো। তবে কিছু কিছু শিল্প আছে, এতই রুগ্ন শত চেষ্টা করেও আর চালু করা সম্ভব না। আমাদেরকে এখন বিকল্প চিন্তা ভাবনা করতে হচ্ছে। সেভাবেই আমরা ব্যবস্থা নেবো। আর নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে কারিগরি শিক্ষার ওপর জোর দিয়েছি। প্রত্যেক উপজেলায় কারিগরি স্কুল তৈরি করা, আমাদের ছেলেমেয়েদেরকে সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি ভোকেশনাল শিক্ষা দিয়ে কর্মসংস্থানের সুযোগ দেওয়ার ব্যবস্থা করছি। ’

আরও পড়ুন>>> বাংলাদেশ থেকে কেউ বিচ্ছিন্নতাবাদী তৎপরতা চালাতে পারবে না

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৯
এসকে/এসই/এইচজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।