ঢাকা: ভেজালবিরোধী অভিযানে রাজধানীর পুরান ঢাকা থেকে রোববার বিপুল পরিমাণ নকল কসমেটিকস পণ্য উদ্ধার করেছে র্যাবের একটি ভ্রাম্যমাণ আদালত। এর সঙ্গে জড়িত পাঁচজনকে আটক করে প্রত্যেককে দু’ মাসের জেল ও বিভিন্ন অঙ্কের অর্থ জরিমানা করে তারা।
আটককৃতরা হচ্ছেন মো. সেলিম, মো. আলি আকবর, মো. মোজাফফর, মো. জাহিদুল এবং রনী। এরা তাজমহল টাওয়ারের সিয়াম কর্পোরেশন, ফাতেমা ট্রেডিং, মেসার্স আমিন ট্রেডিং, তাজুমা এন্টাপ্রাইজ এবং রনী এন্টারপ্রাইজ নামে দোকানগুলোর কর্মচারী।
জানা গেছে, ম্যাজিস্ট্রেট এসএম আবু সাইদের নেতৃত্বে র্যাব-২ দুপুরে চকবাজার থানার মৌলভীবাজারের কসমেটিক্স মার্কেটে অভিযান চালায়। তাদের সহযোগিতা করে চকবাজার থানা এবং আনন্দবাজার পুলিশ ফাঁড়ি।
এ সময় মার্কেটের পাঁচটি দোকান থেকে বিশ্বখ্যাত পন্ডস, ডাভ, জনসন, ম্যাক্স, টোটাল, লরেল এবং ওলে ব্র্যান্ডের ক্রিম, লোশন, শ্যম্পু, হেয়ার অয়েল, সাবান, পাউডার ও দুধসহ প্রায় পাঁচ লাখ টাকার নকল কসমেটিকস জব্দ করে।
সেইসঙ্গে এসব নকল পণ্য বেচাকেনার দায়ে সিয়াম কর্পোরেশন ও রনী এন্টারপ্রাইজকে এক লাখ টাকা এবং ফাতেমা ট্রেডিং, মেসার্স আমিন ট্রেডিং ও তাজুমা এন্টাপ্রাইজকে দু’ লাখ টাকা করে জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। আটক করে পাঁচ দোকানের পাঁচ কর্মচারীকেও।
ম্যাজিস্ট্রেট এসএম আবু সাইদ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে জানান, ঈদকে সামনে রেখে ঢাকাসহ সারাদেশে এসব মার্কেট থেকে পাইকারি দামে অত্যন্ত নিম্নমানের কাচামাল দিয়ে প্রস্তুত এসব পণ্যের খুচরো বিক্রি করা হয়।
তিনি বলেন, ‘এমন কিছু পণ্য এখানে পাওয়া যায়, যা প্রতিবেশী ভারত এমনকি চীনে এখনও পৌঁছেনি। ’
বিশ্বখ্যাত ওলে কোম্পানির লোগো নকল করে হুবহু ওলে পণ্যের বোতল বা ক্যান বানিয়ে তার ভেতর দেওয়া হয় নিম্নমানের কসমেটিক্স সামগ্রীর মিশ্রণ। এ কারণে রাজধানীর অভিজাত মার্কেটগুলোতে যেখানে আসল ওলের দাম প্রায় হাজার টাকা, সেখানে নকল ওলের পণ্য দুশ’ টাকাতেই পাওয়া যায় বলে তিনি জানান।
তিনি আরো বলেন, এসব নকল পণ্য ব্যবহারের ফলে ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি হয় এবং শরীরে বড় ধরনের রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কোনো ধরনের রশিদ ছাড়াই এসব দোকানে পণ্য বেচাকেনা হয় বলে ক্রেতারা সহজেই প্রতারিত হয়।
বাংলাদেশ সময় : ১৭০৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০১০