ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

আরও ২৩ উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন, ৭ কেন্দ্র উদ্বোধন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৯
আরও ২৩ উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন, ৭ কেন্দ্র উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা/ফাইল ফটো

ঢাকা: সবগুলো উপজেলাকে শতভাগ বিদ্যুতায়নের আওতায় আনার কর্মসূচি বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে আরও ২৩টি উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন এবং নতুন ৭টি বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার (১৩ নভেম্বর) সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এসব উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।  

নতুন ৭টি বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধনের ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা বাড়লো ৭৯০ মেগাওয়াট।

ফলে দেশের সর্বমোট উৎপাদন সক্ষমতা দাঁড়ালো ২২ হাজার ৫৬২ মেগাওয়াট।

বুধবার উদ্বোধন হওয়া ৭৯০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ৭টি বিদ্যুৎকেন্দ্র হলো- আনোয়ারা ৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র, রংপুর ১১৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র, কর্ণফুলী ১১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র, শিকলবাহা ১০৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র, পটিয়া ৫৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র, গাজীপুরে নির্মিত রুরাল পাওয়ার কোম্পানির ১০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং তেঁতুলিয়া ৮ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র।

এর আগে বিভিন্ন সময় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই ২৩টি ছাড়াও আরও ২১১টি উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়নের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ নিয়ে মোট ২৩৪টি উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়নের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী।

বুধবার শতভাগ বিদ্যুতায়ন উদ্বোধন হওয়া ২৩ উপজেলা হলো- বগুড়া জেলার শেরপুর, গাবতলী, শিবগঞ্জ উপজেলা, চট্টগ্রাম জেলার লোহাগড়া উপজেলা, ফরিদপুর জেলার মধুখালী, নগরকান্দা, সালথা উপজেলা, গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ি, গাইবান্ধা সদর, ফুলছড়ি উপজেলা, হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর, নবীগঞ্জ উপজেলা, ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ, মহেশপুর উপজেলা, কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ উপজেলা, নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম, লালপুর, সিংড়া উপজেলা, নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা, মোহনগঞ্জ উপজেলা, পিরোজপুর জেলার ভাণ্ডারিয়া, কাউখালী, ইন্দুরকানী উপজেলা।

দেশের বর্তমান বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ২২ হাজার ৫৬২ মেগাওয়াট এবং ৯৪ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ পাচ্ছেন বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

শতভাগ মানুষকে বিদ্যুৎ সুবিধা দিতে সরকারের চলমান কার্যক্রমের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, কেউ অন্ধকারে থাকবে না, মুজিববর্ষে সব ঘরে আলো জ্বলবে, শতভাগ মানুষ পাবে বিদ্যুৎ সুবিধা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবাইকে বিদ্যুৎ ব্যবহারে মিতব্যয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বিতরণে যে খরচ হয় তারচেয়ে কম অর্থে আমরা সরবরাহ করছি। সবাই বিদ্যুৎ অপচয় বন্ধ করবেন, বিদ্যুৎ ব্যবহারে মিতব্যয়ী হবেন, সাশ্রয়ী হয়ে বিদ্যুৎ ব্যবহার করবেন।

তিনি বলেন, এ সম্পদ জনগণের, জনগণের সম্পদ ব্যবহারে সবাই সাশ্রয়ী হবেন। তাছাড়া বিদ্যুৎ কম ব্যবহার কম করলে বিদ্যুৎ বিল কম আসবে। বিদ্যুৎ বিল যাতে কম আসে সেভাবে ব্যবহার করবেন।

উদ্বোধন শেষে ভিডিও কনফারেন্সে কয়েকটি উপজেলার মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

গণভবন প্রান্তে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, এ  মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. শহীদুজ্জামান সরকার।

জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়াও গণভবন প্রান্তে উপস্থিত ছিলেন।

গণভবন প্রান্তে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান।

বাংলাদেশ সময়: ১১১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৯
এমইউএম/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।