ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

সেই কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যা করেছিলেন হাফেজ মুজিবুল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৯
সেই কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যা করেছিলেন হাফেজ মুজিবুল পুলিশের হাতে আটক হাফেজ মুজিবুল: বাংলানিউজ

যশোর: যশোরের বাঘারপাড়ায় মৎস্য ঘের থেকে উদ্ধার হওয়া কিশোরী জয়নাব খাতুনকে (১৩) ধর্ষণের পরে হত্যা করেছিলেন হাফেজ মুজিবুল রহমান।

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) যশোর সদর উপজেলার চানপাড়ার বাসিন্দা হাফেজ মুজিবুল এ স্বীকারোক্তি দেন।  

পুলিশ এবং ভিকটিমের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত ৪ নভেম্বর বাঘারপাড়ার ভাঙ্গুড়া বাজারের দক্ষিণ-পূর্ব পাশের  একটি মৎস্য ঘের থেকে অজ্ঞাতপরিচয় (১৩) তরুণীর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

পরে মৃতদেহটি নড়াইলের সদর উপজেলার জিয়াউর রহমানের মেয়ে জয়নব বলে শনাক্ত করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তে নেমে তথ্যপ্রযুক্তির জালের সুত্র ধরেই হাফেজ মুজিবুলকে আটক করে পুলিশ।

আটক মুজিবুল আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিতে জানিয়েছেন, নিহত কিশোরীর দুলাভাই আসাদুজ্জামান যশোর চানপাড়া এলাকার একটি মসজিদের ইমামের চাকরির সুবাদে মসজিদের কোয়ার্টারে পরিবার নিয়ে বসবাস করেন। শ্যালিকা জয়নাব খাতুন মাঝে মধ্যে তার দুলাভাইয়ের ওই বাসায় বেড়াতে আসতো। দেখা-সাক্ষাতের সূত্র ধরে মুজিবুল তাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলেন। এক পর্যায়ে গত ৩ নভেম্বর মুজিবুল নড়াইল বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে কিশোরী জয়নাবের সঙ্গে দেখা করে তাকে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বাঘারপাড়ার ভাঙ্গুড়ায় নিয়ে যান। ওই রাতেই মজিবুল ভিকটিমকে প্রলোভন ও ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করার পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পানিতে ফেলে দিয়ে ঢাকায় পালিয়ে যান। সেখান থেকে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার হয়ে আবার যশোর এলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।

যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) তৌহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, আসামি মুজিবুলকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তিনি নিজেই আদালতে জবানবন্ধিতে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ০৭০২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৯
ইউজি/ইউবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।