ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

আতঙ্কে হবিগঞ্জের রেল যাত্রীরা!

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৩৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৯
আতঙ্কে হবিগঞ্জের রেল যাত্রীরা!

হবিগঞ্জ: এক বছরের মধ্যে দুটি 'ভয়াবহ' ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটলো। চলতি বছর মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হয়ে ৪ জন নিহতের পর এবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় দুই ট্রেনের সংঘর্ষে হবিগঞ্জের ৭ জনসহ ১৬ জনের মৃত্যু হলো। আহত হয়েছেন শতাধিক যাত্রী। এ ঘটনায় হবিগঞ্জ জেলায় ট্রেন যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। রেল জংশনে কমে গেছে মানুষের উপস্থিতি। দুর্ঘটনার খবরে অনেকেই ফিরে গেছেন স্টেশন থেকে।

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত শায়েস্তাগঞ্জ রেল জংশনে সরেজমিনে দেখা যায়, যাত্রীদের উপস্থিতি একেবারেই নেই। সিলেট থেকে চট্টগ্রামগামী পাহাড়িকা ১২টা ২০ মিনিটে শায়েস্তাগঞ্জ আসার কথা থাকলেও এসেছে ১টা ৩৫ মিনিটে।

এরপরও অন্য দিনের তুলনায় যাত্রী সংখ্যা ছিল খুবই কম।

স্থানীয়রা জানান, অন্যান্য দিন টিকিটধারী যাত্রীসহ আরো শতাধিক যাত্রী পাহাড়িকার জন্য অপেক্ষমান থাকেন। অথচ মঙ্গলবার ওই স্টেশন থেকে উঠেছেন প্রায় ২০ জন যাত্রী। কসবায় দুর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে অনেকেই ফিরে গেছেন বাড়িতে।

নবীগঞ্জের আফজাল আলী নামে এক ব্যক্তি বলেন, তিনি তার স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে চট্টগ্রাম যাওয়ার জন্য মঙ্গলবার সকালে বের হন। কিন্তু স্টেশনে এসে দুর্ঘটনায় ১৬ জন মারা যাওয়ার খবর পেয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। এসময় পরদিন বুধবারের (১৩ নভম্বর) টিকিট ক্রয়ের চেষ্টাও করেন আফজাল।

শায়েস্তাগঞ্জ রেলজংশনের মাস্টার সাইফুল ইসলাম জানান, দুর্ঘটনার পর থেকে ট্রেনের শিডিউলে বড় বিপর্যয় না ঘটলেও যাত্রী সংখ্যা অনেক কমে গেছে। অন্যান্য দিনের তুলনায় টিকিট ক্রেতাদের ভিড় নেই। তবে দুয়েকদিনের মধ্যে যাত্রীদের আতঙ্ক দূর হয়ে যাবে বলেও মনে করছেন তিনি।

সোমবার (১১ নভেম্বর) রাত ৩টার দিকে কসবা উপজেলার মন্দবাগ এলাকায় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা অভিমুখী ‘তূর্ণা নিশীথা’র সঙ্গে সিলেট থেকে চট্টগ্রাম অভিমুখে যাত্রা করা ‘উদয়ন এক্সপ্রেস’ ট্রেনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ১৬ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে শতাধিক। নিহতদের মধ্যে হবিগঞ্জ জেলার ৭ জনের নাম-পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন- হবিগঞ্জ শহরতলীর আনোয়ারপুরের আলী মো. ইউনুছ (৩০), বহুলা গ্রামের আলমগীর আলমের ছেলে ইয়াছিন আলম (১২), চুনারুঘাট উপজেলার উলুকান্দি পশ্চিম তালুকদার বাড়ির ফটিক মিয়ার ছেলে রুবেল মিয়া (২২), একই উপজেলার পীরের গাঁওয়ের আব্দুল হাসিমের ছেলে সুজন মিয়া (২৫), আবুল কালামের স্ত্রী পিয়ারা বেগম (৬২) বানিয়াচং উপজেলার মর্দন মুরত গ্রামের ইউসুফ মিয়ার ছেলে আল আমিন মিয়া (৩৪) ও একই উপজেলার টাম্বলী টুলা গ্রামের সোহেল মিয়ার মেয়ে আদিবা আক্তার (৩)।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৯
এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।