ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ট্রেন দুর্ঘটনা: স্বামীর দাফন শেষে ফেরা হলো না জাহেদার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০১৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৯
ট্রেন দুর্ঘটনা: স্বামীর দাফন শেষে ফেরা হলো না জাহেদার ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত জাহেদার মেয়ে আহত সুমি।

ঢাকা: মাত্র পাঁচদিন আগে চট্টগ্রামে এক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় স্বামীর। তার মরদেহ দাফন ও আনুষ্ঠানিকতা শেষে পরিবারের অন্য সদস্যদের নিয়ে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল থেকে উপবন এক্সপ্রেসে করে চট্টগ্রাম ফিরছিলেন স্ত্রী জাহেদা খাতুন (৩০)। পথিমধ্যে সোমবার দিবাগত রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় পড়ে না ফেরার দেশে চলে যেতে হয় মৃত মোহাম্মদ মুসলিমের স্ত্রী জাহেদা খাতুনকেও। এ দুর্ঘটনায় তার মা, দুই ছেলে ও দু’মেয়ে আহত হয়েছে।

'এক শোক শেষ না হতেই আরেকজনের মৃত্যু'- এমনটা জানিয়ে নিহতের নিকটাত্মীয় মোহাম্মদ জসিম জানান, গত ৭ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) চট্টগ্রাম বন্দরে একটি জাহাজে দায়িত্ব পালন করার সময় জাহেদার স্বামী মোহাম্মদ মুসলিম দুর্ঘটনায় মারা যান। নিহত মুসলিমের মরদেহ নিয়ে শনিবার (৯ নভেম্বর) তাদের সন্তান সুমন, ইমন, মীম, সুমি, জাহেদা খাতুনসহ তার মা সুরাইয়া খাতুন শ্রীমঙ্গল গ্রামে যায়।



তিনি আরও জানান, তাদের বাড়ি শ্রীমঙ্গল উপজেলার গাজীপুর গ্রামে। সেখানে মুসলিমের দাফনসহ অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে চট্টগ্রাম সদর ভাটিয়ালি এলাকায় তাদের বর্তমান ঠিকানায় 'উপবন এক্সপ্রেস' ট্রেনে করে ফিরছিলেন। সোমবার (১১ নভেম্বর) রাতে ফেরার সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া কসবায় ট্রেন দুর্ঘটনায় জাহেদার মৃত্যু হয় ও তার সন্তান সুমনসহ অন্যরা আহত হন। ইমনের দু’পা ভেঙে গেছে, সে পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার বোন কলেজছাত্রী সোমা আক্তার সুমিকে সন্ধ্যার পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আনার পর সিটিস্ক্যান করানো হয়। তবে মাথায় কোনো ইনজুরি না থাকায় দ্রুত তাকে আবার পঙ্গু হাসপাতালে রেফার করেছেন। তার দু’পায়ে ফ্যাকচার রয়েছে। এছাড়া ট্রেন দুর্ঘটনায় জাহেদার মা সুরাইয়া পঙ্গু হাসপাতালে ও জাহেদার সন্তান মীম ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

ঢামেক পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল একেএম নাসির উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, ট্রেন দুর্ঘটনার পরপরই হাসপাতালে বাড়তি প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। এ পর্যন্ত ঢামেকে তিনজন এসেছে। এদের মধ্যে দু’জন যুবক। তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাদের শরীরে ফ্যাকচার আছে এবং সুমি নামে একটি মেয়ে সন্ধ্যার পরে এসেছিল। তাকে সিটিস্ক্যান করিয়ে তার মাথায় কোনো আঘাত পাওয়া যায়নি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯১১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৯
এজেডএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।