ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’: চাঁদপুরে ৬ শতাধিক কাঁচাঘর ক্ষতিগ্রস্ত

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১১২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০১৯
ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’: চাঁদপুরে ৬ শতাধিক কাঁচাঘর ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির উপর ভেঙে পড়েছে গাছ

চাঁদপুর: ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’র তাণ্ডবে চাঁদপুর সদর ও হাইমচর উপজেলায় প্রায় দুই হাজার গাছ উপড়ে পড়েছে। গাছ পড়ে এবং ঝড়ো হাওয়ায় হাইমচর উপজেলার চরাঞ্চলে পাঁচ শতাধিক ও সদর উপজেলার রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নে শতাধিক বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঝড়ো বাতাসে চরাঞ্চলের ঘরের টিন ও বেড়া বাতাসে উড়ে নদীতে পড়েছে।

এদিকে হাইমচর ছোট লক্ষ্মীপুর গ্রামের আ. ছোবহান (৫৫) নামে এক ব্যক্তি গাছের ডালের নিচে পড়ে আহত হয়েছেন।

রোববার (১০ নভেম্বর) বিকেল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় বুলবুল এই তাণ্ডব চালায়।

আর ঝড়ের পর থেকে চাঁদপুর শহরসহ জেলার আট উপজেলায় বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

হাইমচর উপজেলার মহজমপুর গ্রামের বাসিন্দা মহসিন মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, উপজেলার প্রায় সব গ্রামেই প্রচুর পরিমাণে গাছ ভেঙে রাস্তায় ও ঘরবাড়ির উপরে পড়েছে। ঝড়ো হাওয়ায় বহু পানের বরজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

হাইমচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফেরদৌসি বেগম বাংলানিউজকে বলেন, প্রচণ্ড বাতাসে হাইমচর উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের মধ্যে হাওলাদার কান্দিতে ৩৮টিসহ উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের চরাঞ্চলের ঈশানবালা, মনিরপুরচর, গাজীপুর, নীলকমল, মাঝির বাজার, সাহেবগঞ্জ, চরকোড়ালিয়া, মাঝেরচর ও নতুন চরে প্রায় পাঁচ শতাধিক কাঁচাঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া সড়কে বহুগাছ ভেঙে পড়েছে। এসব গাছ তাৎক্ষণিক চাঁদপুর ও হাইমচর ফায়ার সার্ভিস কর্মী ও স্থানীয়দের সহায়তায় কেটে অপসারণ করা হয়েছে।

চাঁদপুর সদর উপজেলার বাগাদী ইউনিয়নে নানুপুর গ্রামের বাসিন্দা বাবু আলম বাংলানিউজকে বলেন, চাঁদপুর সিআইপি বেড়িবাঁধের সড়কে, বিদ্যালয়ে ও ঘরবাড়িতে প্রায় শতাধিক গাছ ভেঙে উপড়ে পড়েছে। স্থানীয় লোকজন এসব গাছ কেটে সড়ক থেকে সরিয়ে নিয়েছেন।

সদর উপজেলার রাজরাজেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হযরত আলী বেপারী বাংলানিউজকে বলেন, সকাল থেকে ঝড়ো হাওয়া থাকলেও বিকেল ৩টার পরে মেঘনা নদীর পশ্চিম পাড়ে গোয়ালনগর ও বলিয়ার চরে প্রায় শতাধিক কাঁচা ও অস্থায়ীভাবে উঠানে ঘর ভেঙে পড়েছে এবং এসব ঘরের টিনের চাল ও বেড়া বাতাসে উড়ে নদীতে গিয়ে পড়ে।

চাঁদপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শোয়েব বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবের কারণে চাঁদপুরে বাতাসের তীব্রতা বেড়েছে। তবে এখন পর্যন্ত ৪ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত রয়েছে।

চাঁদপুর বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এস. এম. ইকবাল বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের পড় বহু গাছপালা বিদ্যুতের তারের উপর পড়েছে। এসব গাছপালা কেটে অপসারণ করা হচ্ছে। এছাড়াও জাতীয় গ্রিডে মেরামতের কাজ করার কারণে বিদ্যুৎসংযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে। লাইনগুলো সচল হলেই বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হবে।

চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রমহান খান বাংলানিউজকে বলেন, হাইমচর উপজেলায় ক্ষয়ক্ষতির খবর পেয়েছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বলা হয়েছে সরেজমিন দেখে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করার জন্য।

বাংলাদেশ সময়: ২০১১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১৯
জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।