ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ভাসানচরকে হাতিয়া-নোয়াখালীর থানা ঘোষণার প্রতিবাদ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১৯
ভাসানচরকে হাতিয়া-নোয়াখালীর থানা ঘোষণার প্রতিবাদ ভাসানচরকে হাতিয়া-নোয়াখালীর থানা ঘোষণার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন। ছবি: ডিএইচ বাদল

ঢাকা: ভাসানচরকে হাতিয়া-নোয়াখালীর থানা ঘোষণার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার বসিন্দারা।

রোববার (১০ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ঢাকায় বসবাসরত সন্দ্বীপের বাসিন্দাদের ১০টি সংগঠনের পক্ষে সন্দ্বীপ ডেভেলপমেন্ট ফোরামের আয়োজনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

আয়োজনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সন্দ্বীপ ডেভেলপমেন্ট ফোরামের সভাপতি নুরুল আকতার।

তিনি বলেন, ৬০টি মৌজা নিয়ে সন্দ্বীপ উপজেলা গঠিত। কিন্তু, বঙ্গোপসাগর ও মেঘনার করালগ্রাসে সন্দ্বীপ ভাঙতে ভাঙতে একসময় খুব ছোট হয়ে আসে। কিছুদিন ধরে সন্দ্বীপের সব জায়গা আবারও চর হিসেবে জেগে উঠেছে, যা সন্দ্বীপবাসীর বুকে আশা সঞ্চয় করেছে। এই চরগুলোর কিছু অংশ সন্দ্বীপের কাছে আর কিছু একটু বাইরে। এর একটি হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী সাবেক ইউনিয়ন ‘ন্যায়মস্তি’, যার বর্তমান নাম ভাসান বা ঠেংগার চর।

‘প্রথমদিকে ভাসানচর জেগে ওঠার পর বন বিভাগ থেকে সন্দ্বীপ উপজেলার অধীনে সেখানে অনেক বছর ধরে বনায়ন করা হয়েছিল। সঙ্গত কারণে ভাষানচর সন্দ্বীপের অংশ। সম্প্রতি এই চর নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলা নিজেদের দাবি করলে সন্দ্বীপবাসী এর প্রতিবাদ করে এবং সীমানা নির্ধারণের জন্য ভূমি মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করে। সেখানকার জরিপের মধ্যে হঠাৎ করে ভাষানচরকে নোয়াখালীর একটি থানা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা মনে করি, ভাষানচর প্রাচীনকাল থেকেই সন্দ্বীপের একটি অংশ এবং জরিপ চলাকালীন সীমানা নির্ধারণ ব্যতীত অবৈধভাবে এই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে যা আইনের পরিপন্থি। ’

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, সন্দ্বীপের চার কিলোমিটার দূরে থাকা ভাষানচর হাতিয়া থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে হলেও সন্দ্বীপকে উপেক্ষার কারণ কী তা বোধগম্য নয়। তাই সন্দ্বীপবাসীরা এই স্বীকৃতি চায় যে, নদীগর্ভে হারিয়ে যাওয়া ও একই স্থানে জেগে ওঠা সন্দ্বীপের ন্যায়মস্তি চর যেন সন্দ্বীপেরই অংশ থাকে।

বক্তব্য পাঠ শেষে আলোচনা করেন সাবেক সচিব আ ল ম আব্দুল রহমান, তপন চন্দ্র ভৌমিক, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মহসিন, সাবেক জেলা জজ আবু সুফিয়ান, অ্যাড. মোশাররফ হোসেন লাল্টু, ফোরামের সাবেক সভাপতি আহমদ মোস্তফা, সোনালী মিডিয়া ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মো. শাহদাত হোসেন প্রমুখ।  

আলোচনায় বক্তারা বলেন, একসময়ের ৫৬৫ বর্গ মাইলের চর এখন ভাঙতে ভাঙতে মাত্র ৮০ বর্গমাইল রয়েছে। যে চর জেগেছে, তার প্রকৃত মালিক আমরা সন্দ্বীপবাসী। ক্ষমতার বলে হাতিয়া এই চর নিজেদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করেছে। এটি কীভাবে হলো তা আমাদের বোধগম্য নয়। সেখানে একটি দুর্ঘটনা ঘটলেও হাতিয়ার আগে আমরা পৌঁছাবো।  

আয়োজনে সন্দ্বীপ সমাজ উত্তরা ঢাকা, বৃহত্তর মিরপুর উত্তরা সমাজ ঢাকা, সোনালী মিডিয়া ফোরাম, সন্দ্বীপ হরিশপুর ইউনিয়ন নদী সিকস্তি পুনর্বাসন কমিটি ঢাকা, সন্দ্বীপ স্টুডেন্টস ফোরাম ঢাকা, সন্দ্বীপ ফ্রেন্ডস সার্কেল অ্যাসোসিয়েশন, সন্দ্বীপ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ, মুছাপুর বদিউজ্জামান হাই স্কুল প্রাক্তন ছাত্র পরিষদ এবং সাউথ সন্দ্বীপ হাই স্কুল সাবেক শিক্ষার্থী সমিতি ঢাকার নেতা ও সদস্যরা অংশ নেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১৯
এইচএমএস/এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।