ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে আগ্রহ নেই লোকজনের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩১৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ৯, ২০১৯
আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে আগ্রহ নেই লোকজনের আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে চান না স্থানীয়রা। ছবি: বাংলানিউজ

ফেনী: ফেনীর সোনাগাজীতে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল মোকাবিলায় অর্ধশত আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হলেও এসব আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে আগ্রহ নেই লোকজনের। নিজেদের ঘর-বাড়ি, আসবাব ও সম্পদ ছেড়ে কোনোভাবেই আশ্রয়কেন্দ্রে থাকতে চান না স্থানীয়রা। উপজেলা প্রশাসন ও  স্বেচ্ছাসেবকরা বারবার অনুরোধ করলেও তাদের আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া যাচ্ছে না। 

তীরবর্তী বাড়ি-ঘর থেকে লোকজনকে জোর করে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হলেও সরকারি সাহায্যে পাওয়া শুকনো খাবার নিয়ে আবারও তারা বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন।  

সোনাগাজী ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) উপজেলা দলনেতা শান্তি রঞ্জন কর্মকার বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের সময় এলাকার মানুষদের বারবার অনুরোধ করার পরও আশ্রয়কেন্দ্রে আনা সম্ভব হয় না।

মানুষ তাদের বাড়ি-ঘর ও সম্পদ রেখে কিছুতেই আসতে চায় না।

উপকূলীয় অঞ্চলের কয়েকজন মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অল্পকিছু আশ্রয়কেন্দ্র ছাড়া সবগুলোতেই স্যাঁতস্যাঁতে অবস্থা। কয়েকটি কেন্দ্রে আলোর ব্যবস্থা পর্যন্ত নেই। এছাড়া গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে পড়তে হয় বলে তারা আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে চান না।  

চরচান্দিয়া এলাকার বাসিন্দা কবির আহম্মদ বলেন, আশ্রয়কেন্দ্রে গেলে বাড়ি-ঘরে চুরি হয়। তাই বিপদ জেনেও বাড়িতে থাকতে চায় এখানকার মানুষ।

শনিবার (০৯ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে পূর্ব চরচান্দিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় পুরোটাই খালি। স্থানীয়রা জানান, এখানে বিদ্যুৎ না থাকায় মানুষ আসে না।

এদিকে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অজিত দেব বলেন, ঘূর্ণিঝড় ও দুর্যোগ মোকাবিলায় এবং জানমালের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনাসহ জনগণকে সর্তক করার লক্ষ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় বুলবুল মোকাবিলায় সোনাগাজীতে অর্ধশত আশ্রয়কেন্দ্রসহ উপজেলার সবকটি বিদ্যালয়কে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া একটি নিয়ন্ত্রণকক্ষ খোলা হয়েছে ও ১০টি চিকিৎসক দল এবং ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে।  

পাশাপাশি, দুর্যোগকালীন উদ্ধার তৎপরতাসহ বিভিন্ন কাজের জন্য সিপিপির দেড়হাজার স্বেচ্ছাসেবকসহ দু’হাজার কর্মী প্রস্তুত রয়েছেন। মজুদ রাখা হয়েছে প্রয়োজনীয় শুকনো খাবারও।

তিনি আরও জানান, আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে গৃহপালিত পশু রাখার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। বিপন্ন এলাকার মানুষদের সম্ভাব্য ক্ষতি এড়াতে শিগগিরই আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০১৯
এসএইচডি/কেএসডি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।