ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ধেয়ে আসছে ‘বুলবুল’, আতঙ্কিত বামনার নদী তীরের মানুষ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ৯, ২০১৯
ধেয়ে আসছে ‘বুলবুল’, আতঙ্কিত বামনার নদী তীরের মানুষ

বরগুনা: আজ সন্ধ্যা বা তার কিছু পরে উপকূলে আঘাত হানবে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’। আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া ৭ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে পায়রা ও মংলা সমুদ্র বন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদসংকেত ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে আতঙ্ক বিরাজ করছে বরগুনার বামনা উপজেলার নদী তীরের বাসিন্দাদের মধ্যে।

২০০৭ এর ১৫ নভেম্বর প্রলয়ঙ্কারী ঘূর্ণিঝড় সিডরের ভয়াবহতা আজও এ অঞ্চলের লোকজনকে আতঙ্কিত করে। ঝড় জলোচ্ছ্বাসে সব থেকে আতঙ্কে থাকে এ অঞ্চলের নদী তীরের মানুষ।

ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে গত রাত থেকে বৃষ্টিসহ ঝড়ে হাওয়া অব্যাহত রয়েছে। বিষখালী নদীর পনি ২-৩ ফুট উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বিভিন্ন এলাকায় নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় ভাঙনের তীব্রতাও বৃদ্ধি পেয়েছে। অভ্যন্তরীণ রুটে সব নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

শনিবার (০৯ নভেম্বর) দুপুর দুইটা পর্যন্ত কোনো আশ্রয় কেন্দ্রে লোকজন না পৌঁছালেও সন্ধ্যা নাগাত নদী তীরের লোকজন আশ্রয় কেন্দ্রে পৌঁছাবে বলে জানিয়েছেন বামনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিউলী হরি।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, বুলবুল মোকাবিলায় এ উপজেলার চারটি ইউনিয়নে ২৮টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা রাখা হয়েছে। এছাড়াও ৬৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ১৩টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় খোলা রাখা হয়েছে।

বুলবুলের ক্ষতি মোকাবিলায় বামনা উপজেলা প্রশাসন জনগণকে সচেতন করতে সার্বক্ষণিক মাইকিং করে প্রচারণা চালাচ্ছেন। এছাড়াও বামনা ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা মাইকিং করে জনগণকে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার জন্য তাগিদ দিচ্ছেন।

বামনা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিউলী হরি সকালে উপজেলার নদী ভাঙন কবলিত এলাকা লঞ্চঘাট, পুরাতন বামনা, চেঁচান, রামনা, দক্ষিণ রামনাসহ চলাভাঙ্গা এলাকা পরিদর্শন করেন। তিনি সেখানকার নদী তীরের লোকজনকে দুপুরের আগেই আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়া জন্য অনুরোধ করেছেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০১৯
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।