ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

পাথরঘাটায় আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত, খোলা রয়েছে কন্ট্রোল রুম

উপজেলা করসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ৮, ২০১৯
পাথরঘাটায় আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত, খোলা রয়েছে কন্ট্রোল রুম

পাথরঘাটা (বরগুনা): বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ বাংলাদেশ-ভারত উপকূলের দিকে ক্রমশ ধেয়ে আসছে। সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে এরই মধ্যে সাগর উত্তাল হয়ে উঠেছে। ফলে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে চার নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ এর প্রভাবে বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) দিনগত রাত সোয়া ১২টা থেকেই উপকূলীয় উপজেলা পাথরঘাটায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে।  

শুক্রবার (৮ নভেম্বর) ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ মোকাবিলায় বেলা ১১টার দিকে জরুরি সভা করেছে পাথরঘাটা উপজেলা প্রশাসন।

সকাল থেকেই পাথরঘাটা আকাশ মেঘলা এবং বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বাতাস না থাকায় উপকূলীয় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।  

জরুরি সভায় জানানো হয়েছে, পাথরঘাটা উপজেলায় সরকারি তালিকাভুক্ত ৭৪টি সাইক্লোন শেল্টারসহ মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনগুলো খোলা রাখার সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যেই সব সাইক্লোন শেল্টারগুলো বসবাসযোগ্য করা হয়েছে।  

এছাড়া প্রয়োজনে বিভিন্ন বিদ্যালয় ভবন নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য ব্যবহার করা হবে। ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি), রেডক্রিসেন্টসহ বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের স্বেচ্ছাসেবকরা প্রস্তুত রয়েছেন। পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও রোভার স্কাউটের সদস্যরাও যেকোনো ধরনের সহায়তা করবে।  

সভায় আরও বলা হয়, পাথরঘাটা বণিক সমিতিকে সব ধরনের পর্যাপ্ত শুকনা খাবার রাখার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।  

পাথরঘাটা উপজেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তার কার্যালয়ের প্রকৌশলী মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, আমরা ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কবার্তা দেখে সবাইকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। বণিক সমিতিকে পর্যাপ্ত শুকনো খাবার মজুদ রাখার জন্য বলা হয়েছে।  

পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. হুমায়ুন কবির বাংলানিউজকে বলেন, দুর্যোগ থেকে জানমাল রক্ষার্থে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। সরকারি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের গতিবিধি লক্ষ্য রেখে সে অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাথরঘাটা উপজেলা উপকূলবর্তী হওয়ায় বেশি ঝুঁকিতে থাকায় আমরাও সজাগ রয়েছি।

এদিকে বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যায় শতশত ট্রলার। আবহাওয়া খারাপ দেখে ইতোমধ্যে বেশ কিছু ট্রলার ঘাটে আসলেও এখনো দেড় শতাধিক ট্রলার গভীর সমুদ্রে রয়েছে। এখন পর্যন্ত তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০১৯
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।