ঢাকা: নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, বিগত চারদলীয় জোট সরকার ক্ষমতার দাপটে নৌপরিবহন খাতকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছিল। এ কাজে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সাবেক মন্ত্রী কর্নেল (অব.) আকবর হোসেন।
রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেসকাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘নৌ দুর্ঘটনা প্রতিরোধে করণীয়: কর্তৃপক্ষের দায় দায়িত্ব ও জনসচেতনতা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
অস্ট্রেলীয় হাইকমিশনের সহায়তায় ‘রাইট টু ওয়ার্কার্স অ্যান্ড কনজ্যুমার সেফটি অ্যান্ড পাবলিক অ্যাকাউন্ট্যাবিলিটি ইন বাংলাদেশ’ প্রকল্প ও বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিস ট্রাস্ট (ব্ল্যাস্ট) যৌথভাবে মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।
মন্ত্রী বলেন, ‘পুরোনো একটা লঞ্চকে ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত বড় করে নাম দেওয়া হয় কোকো। এ লঞ্চ একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটালেও কখনো তার বিচার করা হয়নি। ফলে নৌ-খাত সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছিল। ’
এ নিয়ন্ত্রণ পুনরায় ফিরিয়ে আনা হচ্ছে উল্লেখ করে ওই সময়কার দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমার আমলে এ মন্ত্রণালয়ে তাদের জায়গা হবে না। ’
শাহজাহান খান আরও বলেন, ‘বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম নদীপথগুলো চালু করতে নদীগুলো খনন করা হবে। আগামী ডিসেম্বরেই এ কাজ শুরু করা হবে। ’
আগামীতে ঢাকা-চাঁদপুর রুটে ওয়াটার বাস চালু করা হবে বলেও জানান মন্ত্রী।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটি) চেয়ারম্যান মো. আব্দুল মালেক মিয়া বলেন, ‘৬ সেপ্টেম্বর থেকে বিশেষ লঞ্চ চালু করা হবে। যাত্রী হয়রানি রোধে টাঙিয়ে দেওয়া হবে ভাড়ার তালিকা। ’
অতিরিক্ত যাত্রী ও পণ্য না ওঠানোর জন্য মালিকদের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।
ডিপার্টমেন্ট অব শিপিং-এর মহাপরিচালক রিয়ার অ্যাডমিরাল বজলুর রহমান বলেন, ‘এবার সার্ভে লঞ্চ ছাড়া অন্য কোনো লঞ্চে যাত্রী পরিবহন করতে দেওয়া হবে না। এছাড়া হয়রানি বন্ধে চালু করা হচ্ছে মোবাইল কোর্ট। ’
বিচারপতি মো. আওলাদ আলীর সভাপতিত্বে আলোচনায় আরও অংশ নেন বিচারপতি মো. নিজামুল হক, কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)-এর সভাপতি কাজী ফারুক, সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তরের প্রধান পরিদর্শক মো. জাহিদ হোসেন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০১০