ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

‘রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারে নিরাপদ পরিবেশ দরকার’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০০৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ৮, ২০১৯
‘রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারে নিরাপদ পরিবেশ দরকার’ রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শনে এলিস ওয়েলস। ছবি: বাংলানিউজ

কক্সবাজার: কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির ও স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য পরিচালিত যুক্তরাষ্ট্র সরকারের বেশ কয়েকটি প্রকল্প পরিদর্শন করেছেন মার্কিন দুই শীর্ষ কর্মকর্তা।

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলিস ওয়েলস টেকনাফের শামলাপুর শরণার্থী শিবির এবং ইউএসএআইডির উপ-প্রশাসক বনি গ্লিক কক্সবাজার সদর ও রামুর বিভিন্ন প্রকল্প পরিদর্শনে যান।  

রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন শেষে দুপুরে কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করেন এলিস ওয়েলস।

বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের জন্য মিয়ানমারে নিরাপদ পরিবেশ দরকার। প্রত্যাবাসন অবশ্যই স্বেচ্ছায়, নিরাপদে ও মর্যাদাপূর্ণ হতে হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, থাইল্যোন্ডে অনুষ্ঠিত ইন্দো-প্যাসিফিক সম্মেলনে এই বিষয়টির ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র সরকার রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন ত্বরান্বিত করতে সব আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সঙ্গে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের অবস্থানের কারণে এখানকার স্থানীয় বাসিন্দাদের নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।  

তিনি বলেন, প্রত্যাবাসনের পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের ওপর যে জাতিগত নিধনসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধ সংঘঠিত হয়েছে, এ বিষয়গুলো নিয়েও চিন্তা করা দরকার। রোহিঙ্গা সমস্যার যাতে দ্রুত ও টেকসই সমাধান হয়, সেজন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে কাজ করতে হবে।

বৈঠকে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. মাহাবুব আলম তালুকদারসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, বিভিন্ন প্রকল্প পরিদর্শন শেষে ইউএসএআইডির উপ-প্রশাসক বনি গ্লিক সাংবাদিকদের বলেন, রোহিঙ্গা সংকট একটি আন্তর্জাতিক সমস্যা। সারাবিশ্ব এই সমস্যা নিয়ে উদ্বিগ্ন। এটি মূলত মিয়ানমারের কারণেই হয়েছে। বাংলাদেশ ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে বিশ্বে প্রশংসা কুড়িয়েছে।  

তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সংকট সৃষ্টি করেছে মিয়ানমার সরকার। এ সংকট সমাধানের জন্য মার্কিন সরকার মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে। ট্রাম্প প্রশাসন ইতোমধ্যে মিয়ানমারের ওপর অর্থনৈতিক নানা বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে, চার সামরিক কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞাও জারি করা হয়েছে।

বনি গ্লিক বলেন, মার্কিন সরকার চায় রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও স্বেচ্ছামূলক প্রত্যাবাসন। এ ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখছে।

এসময় ইউএসএআইডির উপ-প্রশাসক কক্সবাজার সদরের পাওয়ার হাউস এলাকায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ইপসার ভিকটিম শেল্টার হোম এবং রামুতে ইউএিএআইডির অর্থায়নে বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থার কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। তিনি দরিদ্র নারীদের সঙ্গে স্যানিটেশন বিষয়ে মতবিনিময় করেন ও শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় বিশেষ নাটিকা উপভোগ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০১৯
এসবি/একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad