ঢাকা: দেশের উত্তরাঞ্চলের সিরাজগঞ্জ, পাবনা, পঞ্চগড় এবং দক্ষিণাঞ্চলের কুষ্টিয়া, মেহেরপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে একের পর এক অ্যানথ্যাক্স রোগের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার ঘটনা ঘটছে। রোগটির সংক্রমণের এই আশংকাজনক দ্রুতি রীতিমতো উদ্বেগ ও বড় ধরণের স্বাস্থ্যঝুকিঁর কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এই অবস্থায় অ্যানথ্রাক্স যাতে মহামারি আকার নিতে না পারে সে জন্য সারাদেশে রোববার সর্বোচ্চ সতর্কতা (রেড অ্যালার্ট) জারি করেছে সরকার।
সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে বলেন, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ রেড অ্যালার্ট বহাল থাকবে।
তিনি আরও বলেন, ‘সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে প্রথম অ্যানথ্রাক্স ধরা পড়ার পর টাঙ্গাইলের ঘাটাইল, কুষ্টিয়া ও পঞ্চগড়েও এ রোগ ছড়িয়ে পড়ে। এ অবস্থায় অন্যান্য এলাকায়ও এ রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থেকেই এ রেড অ্যালার্ট জারি করা হলো। ’
পরীক্ষা ছাড়া কোনোভাবেই গরুর মাংস না খাওয়ার জন্য সতর্ক করে দেন প্রাণিসম্পদমন্ত্রী।
সীমান্ত এলাকায় সীমান্তরক্ষী বাহিনী ও পুলিশ বাহিনীকে সতর্ক থাকার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জানিয়ে লতিফ বিশ্বাস বলেন, ‘কোনোভাবেই রোগাক্রান্ত কোনো গরু যাতে বাংলাদেশে ঢুকতে না পারে তা নিশ্চিত করতে হবে। ’
আক্রান্ত এলাকায় অতিরিক্ত দুই লাখসহ সারাদেশে পাঁচ লাখ ভ্যাকসিন পাঠানো হয়েছে বলেও জানান প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী।
এরই মধ্যে যেসব গরু মারা গেছে সেগুলোর তালিকা তৈরি চলছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এসব গরুর জন্য মালিককে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার চিন্তা করা হচ্ছে। এছাড়াও এক মাসের মধ্যে পশুবীমা চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৫২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০১০