ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

নববধূকে মারধরের অভিযোগ পুলিশের এসআইয়ের বিরুদ্ধে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৪৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ৫, ২০১৯
নববধূকে মারধরের অভিযোগ পুলিশের এসআইয়ের বিরুদ্ধে

বগুড়া: বগুড়ার গাবতলী উপজেলায় এক নববধূকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে পুলিশের এক উপ-পরিদর্শকের (এসআই) বিরুদ্ধে। কেন তাকে না জানিয়ে ধর্ষণচেষ্টা মামলার আসামির সঙ্গে পারিবারিকভাবে সমস্যার সমাধান করা হলো এতে ক্ষিপ্ত হয়ে এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে ওই পুলিশ কর্মকর্তা।

মারধরে আহত মনিরা আক্তার কেমি (১৮) বগুড়ার মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আহত মনিরা গাবতলী উপজেলার খুপি গ্রামের জাহিদুল ইসলামের মেয়ে এবং একই গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে ইমরান হোসেন সুইটের স্ত্রী।

সোমবার (০৪ নভেম্বর) দুপুরে চিকিৎসাধীন মনিরা বাংলানিউজকে জানান, পারিবারিকভাবে ধর্ষণচেষ্টা মামলার আসামির সঙ্গে ঝামেলা মিটিয়ে ফেলার কারণে ক্ষিপ্ত হন মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা গাবতলী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রিপন মিয়া।

জানা যায়, গত রোববার (০৩ নভেম্বর) রাত ১০টায় স্বামীর ঘরে বসে টিভি দেখছিলেন মনিরা। এসময় সাদা পোশাকে ওই বাড়িতে যান এসআই রিপনসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য। তারা গিয়ে প্রথমে মনিরার স্বামী সুইটের খোঁজ করেন।  পরে তাকে না জানিয়ে কেন সমস্যার সমাধান করা হলো তা জানতে চান ওই পুলিশ কর্মকর্তা। কথার মধ্যেই একসময় অকথ্য ভাষায় গালাগালি করতে থাকেন তিনি। এর প্রতিবাদ করলেই মনিরাকে মারধর করা হয়।

পরে আহত মনিরাকে রাতেই হাসপাতালে ভর্তি করান তার স্বজনরা।

মনিরা জানান, তিনি গাবতলী উপজেলার ফজিলা আজিজ মেমোরিয়াল কলেজে পড়েন। একই কলেজে পড়তেন তার স্বামী সুইট। গত ১৪ সেপ্টেম্বর কলেজ থেকে ফেরার পথে মনিরাকে উত্ত্যক্ত করায় তার মা মেরিনা বেগম বাদী হয়ে সুইটের বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন। পরেরদিন এই অভিযোগে পুলিশ সুইটকে আটক করে।

এরপর বিষয়টি পারিবারিকভাবে সমাধানের চেষ্টা করা হয়। একইসঙ্গে এ বিষয়ে একটি আপোষনামা আদালতে দেওয়া হলে ৩১ অক্টোবর জামিনে মুক্ত হন সুইট।

এরপর গত ১ নভেম্বর পরিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়। বিষয়টি জানতে পেরে ক্ষিপ্ত হন মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা রিপন মিয়া।

গাবতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ভিকটিম মনিরার সঙ্গে কথা হয়েছে। মনিরা উপ-পরিদর্শক (এসআই) রিপন মিয়ার বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ করেছেন। তবে, মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন এসআই রিপন মিয়া। বিষয়টি পুলিশ সুপার স্যারকে জানিয়েছি। তদন্তের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০১৯
এইচএডি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।