ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

নারীকে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করায় গ্রেফতার রাফি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ৪, ২০১৯
নারীকে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করায় গ্রেফতার রাফি বাঁশের খুঁটির বাঁধা নারী ও ডানে ঘাতক রাফি।

বগুড়া: বগুড়া শিবগঞ্জ উপজেলায় এক নারীকে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি রাফিকে (২৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নির্যাতনের শিকার ওই নারীর সৎ ভাই মামুন হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। রাফি বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার অনন্তবালা গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে।

জানা যায়, শুক্রবার (১ নভেম্বর) শিবগঞ্জ উপজেলার রায়নগর ইউনিয়নের অনন্তবালা গ্রামের ওই নারীকে ফুলকপির চারা নষ্ট করার অভিযোগে একই গ্রামের রাফি ও তার লোকজন বাঁশের খুঁটির সঙ্গে হাত-পা বেঁধে মারধর করেন। পরে তাকে স্থানীয় গ্রাম পুলিশের (চৌকিদার) মাধ্যমে শিবগঞ্জ থানায় সোপর্দ করা হয়। পুলিশ ওই নারীকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করলে আদালতের বিচারক ঘটনা বিবরণ জানার পর ওই নারীকে বাদী করে নারী নির্যাতন দমন আইনে মামলা নিতে পুলিশকে নির্দেশনা দেন। কিন্তু পুলিশ কোনো মামলা না নিয়ে ওই নারীকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। এক পর্যায়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওই নারীর নির্যাতনে ভিডিও ভাইরাল হলে রোববার বিকেলে নির্যাতনের শিকার নারীর গ্রামের বাড়িতে যায় পুলিশ। সেখানে তাকে না পেয়ে তার সৎ ভাই বগুড়া সদর উপজেলার পলাশবাড়ি গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে মামুনকে থানায় ডেকে এনে তাকে বাদী দেখিয়ে একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় রাফিকে প্রধান আসামি এবং অজ্ঞাতনামা আরও পাঁচ থেকে ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানায়, বগুড়া সদর উপজেলার পলাশবাড়ি গ্রামের নির্যাতনের শিকার ওই নারী নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করেন। উপজেলার অনন্তবালা গ্রামের শহিদুলের ছেলে রাফি তাকে গত প্রায় নয় মাস আগে বিয়ে করেন। পরে তারা বগুড়া শহরে বাসা ভাড়া নিয়ে বেশ কিছুদিন একই সঙ্গে ছিলেন। গত অক্টোবর মাসে রাফি তার স্ত্রীকে শহরের বাসায় রেখে গ্রামের বাড়ি চলে আসেন। এরপর থেকে তিনি তার স্ত্রীর কোনো খোঁজ-খবর না নেওয়ায় শুক্রবার সকালে অনন্তবালা গ্রামে রাফির বাড়িতে যান ওই নারী। রাফি ও তার পরিবারের সদস্যরা এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওই নারীকে বাড়ির পাশের ফুলকপি ক্ষেতে নিয়ে একটি বাঁশের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে মারধর করেন। পরে স্থানীয় গ্রাম পুলিশের (চৌকিদার) মাধ্যমে তাকে শিবগঞ্জ থানায় সোপর্দ করা হয়।

শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, নির্যাতনের শিকার ওই নারীর ভাই মামুনের দায়ের করা মামলায় প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৮৩৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০১৯
কেইউএ/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।