ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

জনগণের জন্য কাজ করতে ক্লান্তি আসে না: প্রধানমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩, ২০১৯
জনগণের জন্য কাজ করতে ক্লান্তি আসে না: প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা: দেশের মানুষ যেন ভালো থাকে, উন্নত জীবন পায় সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগণের জন্য যখন কাজ করি, তখন আমার কোনো ক্লান্তি আসে না।

শনিবার (০২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণভাণ্ডারে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস’র (বিএবি) কম্বল গ্রহণ ও চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা।

অনুষ্ঠানে বিএবি নেতারা প্রধানমন্ত্রীর নিরলস কর্মতৎপরতা নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেন, আপনি এতো কাজ করেন, ক্লান্ত হন না।

এরই জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, আমাকে এতো ক্লান্ত, ক্লান্ত বলার কিছু নাই। আমি এতো তাড়াতাড়ি ক্লান্ত হই না। আর জনগণের জন্য যখন কাজ করি, তখন আমার কোনো ক্লান্তি আসে না। এটা বাস্তবতা। আমি তো নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছি জনগণের জন্য।

বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, আমার বাবা এ দেশ স্বাধীন করে গেছেন। তার একটা স্বপ্ন ছিল, মানুষের জন্য তিনি করতে চেয়েছিলেন। সেটা তিনি করতে পারেন নাই। আমি এটাকে দায়িত্ব হিসেবে নিয়েছি। আমার দেশের মানুষ যদি একটু ভালো থাকে, সেটাই আমার কাছে সব থেকে বড় পাওয়া। এজন্য আর কোনো কাজ রাখিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষের জন্য কাজ করে, তাদের যেন সুন্দর জীবন দিতে পারি। অন্তত তারা যেন দু’বেলা দু’মুঠো খেতে পারে। তাদের বাসস্থান, চিকিৎসা, শিক্ষার ব্যবস্থা, তাদের জীবনটা যেন একটু স্বচ্ছলভাবে চলে। একটু উন্নত জীবন হয়।

আওয়ামী লীগ সরকারের নেতৃত্বে দেশের অগ্রগতির কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের একটাই স্বপ্ন, বাংলাদেশ বিশ্বে মর্যাদা নিয়ে চলবে। সেটা অনেকাংশে আমরা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। বিশ্ব বাংলাদেশকে এখন আর করুণার চোখে দেখে না। সম্মানের চোখে দেখে।

উন্নত, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে বর্তমান সরকার স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় উন্নত, সমৃদ্ধ, শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে গড়ে উঠবে। সে লক্ষ্যে আমরা পরিকল্পনা নিয়েছি, কাজ করে যাচ্ছি।

শীতার্ত মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণভাণ্ডারে কম্বল দেওয়ার জন্য বিএবিকে ধন্যবাদ জানিয়ে ও বেসরকারি ব্যাংকগুলোকে নিজেদের প্রতিশ্রুত সামাজিক দায়বদ্ধতা পূরণের তাগিদ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা যা কিছু করি জনগণের কল্যাণে, সেখানে আপনারা সবসময় এগিয়ে আসেন। প্রাকৃতিক দুযোর্গ হলেও আপনারা সহযোগিতা দিয়ে যান। কম্বলগুলো দেবেন সে জন্য আপনাদের ধন্যবাদ। সরকারি ভাবে তো আমরা দেই। আপনাদের সহযোগিতায় আমরা আরও বেশি মানুষকে দিতে পারি। আরও বেশি মানুষ উপকৃত হয়। আমাদের প্রতিবন্ধী, বয়োবৃদ্ধ, অসহায় আছে তাদের সহযোগিতা করতে হয়।

‘আমাদের দেশের মানুষের আর্থিক অবস্থা ভালো হচ্ছে। আশা করি ভবিষ্যতে এতো বেশি (সহযোগিতা) দেওয়া লাগবে না। জনগণের কল্যাণে সহযোগিতা করছেন এ জন্য আল্লাহর কাছে সওয়াবও পাবেন। ’

গ্রামীন মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ ও সফলতার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অর্থনৈতিক দিক থেকে যে গতিশীলতা তৈরিতে আমরা চেষ্টা করছি, তার ফলটা দেশবাসী পাচ্ছে, গ্রামের মানুষ পাচ্ছে।

মানুষকে ব্যাংক ব্যবহারে অভ্যস্ত করে তুলতে সরকারের নেওয়া পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ১০ টাকায় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার সুযোগ ছাড়াও ব্যাংক ব্যবহার করার অভ্যাসটা মানুষের মধ্যে গড়ে তোলার জন্য আমরা পদক্ষেপ নেই।

অনুষ্ঠানে বিএবি’র অধীনে ৩৬টি বেসরকারি ব্যাংক আসন্ন শীতে অসহায় মানুষের মধ্যে বিতরণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণভাণ্ডারে প্রায় ২৭ লাখ কম্বল দেয়। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী আরও কম্বল কেনার জন্য ডাচ-বাংলা লিমিটেড’র পক্ষ থেকে দেওয়া ১০ কোটি টাকার একটি চেক গ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- বিএবি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার। প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ ফজলুর রহমান, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ প্রমুখ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ০০২৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০১৯
এমইউএম/এইচজে 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।