ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

লাগেজে পাওয়া মরদেহ মামলার রহস্য উদঘাটন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৯
লাগেজে পাওয়া মরদেহ মামলার রহস্য উদঘাটন গ্রেফতার হওয়া চার আসামি। ছবি: বাংলানিউজ

ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহে লাগেজে ও কুড়িগ্রামে ডোবা থেকে খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনার রহস্য উদঘাটন করেছে ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ। খুন হওয়া যুবকের নাম বকুল (২৮)। তিনি নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলার উপজেলার হুগলা এলাকার ময়েজ উদ্দিনের ছেলে।

পুলিশ জানায়, বোনকে উত্ত্যক্ত করায় বখাটে যুবক বকুলকে হত্যার পর মরদেহ খণ্ডিত করে ময়মনসিংহ ও কুড়িগ্রামে ফেলে দেওয়া হয়। এই কিলিং মিশনে অংশ নেওয়া একই পরিবারের দু’নারীসহ চার সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

গ্রেফতার চারজন হলেন- ফারুক মিয়া (২৫), তার ভাই হৃদয় মিয়া (২০), বোন সাবিনা আক্তার (১৮) ফারুকের স্ত্রী মৌসুমি আক্তার (২২)। গ্রেফতারদের বাড়ি পূর্বধলার উপজেলার হুগলা এলাকায়।

বুধবার (৩০ অক্টোবর) সকাল ১১টায় ময়মনসিংহ পুলিশ লাইন্সে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান জেলা পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদোন্নতিপ্রাপ্ত) শাহ আবিদ হোসেন।

তিনি জানান, ২৫ অক্টোবর ময়মনসিংহের কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা দায়েরের পর তার তদন্তভার জেলা গোয়েন্দা শাখার ওপর ন্যস্ত করা হয়। মামলাটি তদন্তকালে কুড়িগ্রামে খণ্ডিত দেহাংশের সঙ্গে নারীদের হাতব্যাগে পাওয়া চিরকুটের সূত্র ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায় ময়মনসিংহ ডিবির ওসি শাহ কামাল আকন্দের নেতৃত্বে একটি দল। গত ২৮ অক্টোবর গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর থেকে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দু’নারীসহ ওই চারজনকে গ্রেফতার করে ডিবি। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যার কথা স্বীকার করেন ও জানায় বোনকে উত্ত্যক্ত জেরে তারা বকুলকে হত্যা করেন।

এর আগে গত ২১ অক্টোবর ময়মনসিংহ নগরের পাটগুদাম এলাকার শম্ভুগঞ্জ ব্রিজের কাছ থেকে উদ্ধার হয় হাত-পা ও মুণ্ডুহীন মরদেহ। একইদিন ও পরদিন কুড়িগ্রাম সদর ও রাজারহাট থেকে উদ্ধার হয় দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হাত, পা ও মাথা।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০,২০১৯
একে/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।