ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বর অষ্টমের, কনে ষষ্ঠ শ্রেণির!

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৪৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৯
বর অষ্টমের, কনে ষষ্ঠ শ্রেণির!

খাগড়াছড়ি: খাগড়াছড়ির পানছড়িতে ১৫-২০ দিন আগে কিশোর খোরশেদ আলমের (১৬) সঙ্গে কিশোরী আছিয়া বেগমের (১৪) বিয়ে দেয় দুই পরিবার। দু’জনে পানছড়ির মধ্যনগর মাদ্রাসার যথাক্রমে অষ্টম ও ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী।

এই বাল্যবিয়ে অনেকটা গোপন সারা হলেও নজর এড়ায়নি প্রশাসনের। বিষয়টি জানতে পেরে সোমবার (২৮ অক্টোবর) বিকেলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন পানছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম।

বাল্যবিয়ে প্রমাণিত হওয়ায় বর-কনের বাবাকে ৬ মাসের করে কারাদণ্ড দিয়ে জেলহাজতে পাঠান। পাশাপাশি প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত আলাদা থাকার নির্দেশ দেওয়া হয় দুই কিশোর-কিশোরীকে।

বর খোরশেদের দণ্ডপ্রাপ্ত বাবার নাম নজরুল ইসলাম, আর কনে আছিয়ার বাবার নাম আইয়ুব আলী।

সূত্র জানায়, বাল্যবিয়ের বিষয়টি জানতে পেরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা দুই পরিবারের সদস্যদের ডেকে কাগজপত্র যাচাই করেন। তখন দেখেন বর অষ্টম এবং কনে ষষ্ঠ শ্রেণি পড়ুয়া। মাদ্রাসায় ভর্তি রেজিস্টার অনুযায়ী তাদের বয়স যথাক্রমে ১৬ ও ১৪ বছর। পরে ইউএনও ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে বর-কনের বাবাকে কারাদণ্ড ও দুই কিশোর-কিশোরীকে প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত আলাদা থাকার নির্দেশ দেন।

পানছড়ি থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) খুশী রাম বাংলানিউজকে জানান, কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দু’জনকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।  
 
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৯
এডি/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।