ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

রেলমন্ত্রীর আগমনে লোক দেখানো উচ্ছেদ অভিযান!

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০১৯
রেলমন্ত্রীর আগমনে লোক দেখানো উচ্ছেদ অভিযান!

জয়পুরহাট: দীর্ঘদিন পর আবারও জয়পুরহাট রেলস্টেশনের আশপাশে অবৈধভাবে পরিচালিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো উচ্ছেদ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন রেলের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা। 

রেলমন্ত্রীর জয়পুরহাট আগমনকে কেন্দ্র করে সাময়িক তড়িঘড়ি করে এ উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট অনেকেই মন্তব্য করেছেন। এদিকে, মাত্র দু’দিনের জন্য উচ্ছেদ হলেও কয়েক দিনের মধ্যেই অবৈধ এসব দোকান পাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আবারও আগের মতোই পরিচালনা হবে বলে জানান স্থানীয়রা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাত্র দুই দিন আগেও জয়পুরহাট-বগুড়া মহাসড়কের জিরো পয়েন্ট সংলগ্ন পাঁচুর মোড়ের রেল ঘুমটিতে ছোট বড় অন্তত ৩৫টি ফলের দোকান ছিল। যে কারণে জয়পুরহাট শহরের সবচেয়ে ব্যস্ততম এই পয়েন্টটি সব সময়ই যানজটে লেগে থাকে। ফলে অধিকাংশ সময়ই ছোট বড় দুর্ঘটনা ঘটে। কিন্তু রেলমন্ত্রী জয়পুরহাটে আসছেন জেনে রেলের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা শনিবার (২৫ অক্টোবর) সকাল থেকে ফলের দোকানগুলো উচ্ছেদ শুরু করেছে।

একইভাবে রেললাইনের পশ্চিম পাশে প্রায় অর্ধ শতাধিক কাটিং ফিটিং দর্জিও দোকান ছিল। সেগুলোও বিনা নোটিশে উচ্ছেদ উচ্ছেদ করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে, রেলের পূর্ব পাশে রেললাইন দখল করে থাকা হকার্স মার্কেটটি যেখানে তিন শতাধিক দোকান ছিল, সেটিও উচ্ছেদ করা হয়েছে। এসব উচ্ছেদের ফলে জয়পুরহাট শহরের এই প্রাণ কেন্দ্রটি এখন শোভা বর্ধন করছে।  

ফল ব্যবসায়ী রিপন, শফি, ফারুক, দেলোয়ার, জহির, দর্জি শিল্পী সুলতানসহ অনেক ব্যবসায়ী বাংলানিউজকে জানান, রেলমন্ত্রী আসছেন তাই শনিবার সকাল থেকে আমাদের এসব দোকান তুলে নিয়ে যেতে বলেছে। তবে কবে থেকে আমরা দোকান দিতে পারবো সেকথা রেলস্টেশন মাস্টার পরবর্তীতে জানাবেন বলে শুনেছি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ব্যবসায়ী জানান, স্টেশন কর্মকর্তাদের নিয়মিত চাঁদা দিয়ে থাকি, যে কারণে তারা কথা দিয়েছে মন্ত্রী সাহেব জয়পুরহাট থেকে রওয়ানা দেওয়ার পর আমরা দোকান সাজাতে পারবো।

জয়পুরহাট রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার হাবিবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, রেল ঘুমটির ফলের দোকান, রেললাইনের পশ্চিম পাড়ের দর্জি শিল্পীদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ পুরো হকার্স মার্কেট স্থায়ীভাবে উচ্ছেদ করার জন্য লিখিতভাবে স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। জানি না তারা কি করবেন। তবে আমিও চাই এগুলো স্থায়ীভাবে উচ্ছেদ হোক। কারণ, অবৈধ এসব দোকান-পাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য যানজটসহ ছোট বড় দুর্ঘটনা ঘটছে প্রতিনিয়ত।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০১৯
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।