ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

গুজব বিভ্রান্তি দূর করতে কাজ করার আহ্বান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৯
গুজব বিভ্রান্তি দূর করতে কাজ করার আহ্বান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য রাখছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল/ছবি- ডি এইচ বাদল

ঢাকা: মিথ্যা বা ভুল তথ্য, গুজবে জনগণ যাতে বিভ্রান্ত না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রেখে কমিউনিটি পুলিশ সদস্যদের কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

শনিবার (২৬ অক্টোবর) রাজারবাগ পুলিশ অডিটরিয়ামে ‘কমিউনিটি পুলিশিং ডে-২০১৯’ উপলক্ষে আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এ আহ্বান জানান।

গুজবকে কেন্দ্র করে ভোলার ঘটনা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আমরা মনে করি, কমিউনিটি পুলিশিংয়ের প্রধান কাজটি হবে- মিথ্যা, গুজব বা ভুল তথ্যে যাতে জনগণ বিভ্রান্ত না হয়।

গুজব ছড়িয়ে রামু, নাছিরনগর এবং সম্প্রতি ভোলায় সহিংসতা দেখেছি। যেন গুজব ছড়াতে না পারে, সেই লক্ষ্যে আপনারা কাজ করবেন। যেকোনো তথ্য জানলে তা যাচাই করে দেখুন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে আমরা প্রতিদিন কোন না কোন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে যাচ্ছি। কমিউনিটি পুলিশের সহযোগিতায় পুলিশ অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে যাচ্ছে। এজন্য দেশে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি। আমরা মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে যাচ্ছি। সেটিও নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে যদি সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করেন।

‘পুলিশের সঙ্গে কাজ করি, মাদক-জঙ্গি-সন্ত্রাস মুক্ত দেশ গড়ি’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে জনগণের সঙ্গে কাজ করতে পুলিশ সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

বাংলাদেশ দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে মন্ত্রী আরো বলেন, দেশের টেকসই উন্নয়নের জন্য টেকসই নিরাপত্তা ব্যবস্থা দরকার। সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। বর্তমানে দেশের ৮০০ জন নাগরিকের নিরাপত্তার জন্য একজন পুলিশ। কমিউনিটি পুলিশিংয়ের যে দায়িত্ব তা জনসাধারণ পালন করছেন বলে শান্তির বাংলাদেশ বিনির্মাণে সহায়ক হচ্ছে। সন্ত্রাস জঙ্গিবাদ দমনে বিট পুলিশিং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। বিট পুলিশিংয়ের মাধ্যমে বিট অফিসার পাড়া-মহল্লায় জনগণের কাছে সরকার ও পুলিশের চাওয়া পৌঁছে দিতে পারছে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, নাটক, কবিতা ও কথার মাধ্যমে সমাজকে যেভাবে প্রভাবিত করা যায়, তা লাঠি দিয়ে করা সম্ভব নয়। সমাজের সবাইকে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত করতে হবে। সন্তানদের খেলাধূলায় যুক্ত করতে হবে। তা না করতে পারলে সন্তানদের মাদক, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ থেকে রক্ষা করা সম্ভব নয়।

তিনি বলেন, বাসযোগ্য একটি সমাজ গড়া এবং নিজের ও সন্তানের নিরাপত্তা কখনও একা গড়া সম্ভব নয়। এজন্য সবাইকে পুলিশের সঙ্গে একত্রিত হয়ে কাজ করতে হবে। আপনার আশপাশে বিভিন্ন অপরাধ ঘটলে সেটি পুলিশকে জানান। এতে আপনি, পুলিশ ও সমাজের সবাই উপকৃত হবেন। আর যদি নিজে চুপ করে থাকেন তবে সমাজের সবারই ক্ষতি হচ্ছে। সুন্দর সমাজ গড়ার জন্য আপনারা এক কদম এগোলে আমরা দশ কদম এগিয়ে যাবো।

ডিএমপি কমিশনার আরো বলেন, জনগণের ট্যাক্সের টাকা দিয়ে আমাদের মাথার টুপি থেকে পায়ের জুতা পর্যন্ত সবকিছুই সরকার দিচ্ছে। এমনকি আমার সন্তানের লেখাপড়া ও পেটের রুটিরুজি সবকিছুই আপনাদের টাকায় হচ্ছে। অথচ পুলিশের কিছু কর্মকর্তাদের ভেতরে ভাবটা এমন থাকে, যে আমি বাদশা আপনি আমার প্রজা। এই বোধ নিয়ে কেউ ঢাকা মেট্রেপলিটন পুলিশের চাকরি করতে পারবে না।

তিনি বলেন, এই মহানগরীর প্রতিটি মানুষের যে সম্মান, শ্রদ্ধা, ও সুন্দর আচরণ পাওয়ার কথা, সেটি যদি পুলিশের কোনো পর্যায় থেকে আপনারা না পান, তবে আমাদের জানাবেন। আমরা এ ধরনের লোকদের পুলিশের দায়িত্ব দিয়ে ডিএমপিতে রাখবো না।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৯
পিএম/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।