শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে পুলিশ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে জাফর (৩২), শাহজাহান (৪০) ও ঝানু (৩৫) নামে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে।
শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে পুলিশ ইউনিয়নের মহিদীপুর থেকে ওই বৃদ্ধার মরদেহ উদ্ধার করে ময়না-তদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
স্থানীয়রা ও নিহতের মেয়ে শারজাহান জানায়, ৭/৮ বছর আগে তার ভাই মহিদীপুর উত্তরকানী গ্রামের কবির হোসেনের ছেলে রুবেলের সঙ্গে একই এলাকার খাজুর মেয়ে মামনির বিয়ে হয়। পরে তারা চট্টগ্রামে বসবাস করে আসছিল। কয়েকদিন আগে দাম্পত্য কলহের কারণে তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। বুধবার সকালে মামনি চট্টগ্রাম থেকে বাবার বাড়িতে এসে বিষয়টি তার চাচাদের জানায়। ওইদিন দুপুর ২টার দিকে মামনির চাচারা সংঘবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে রুবেলের বাড়ির সদস্যদের ওপর হামলা চালায়।
এতে রুবেলের দাদি ফাতেমা বেগম (৭০), ফুফু শারজাহানসহ (৪৬), সাবিনা (২২), সুফল (২৪), সাহিদ (১২), দেলোয়ারা বেগম (৫২) ও লিমা (২৪) গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করে।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় বৃদ্ধা ফাতেমাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে রাত ২টার দিকে আইসিইউতে ফাতেমা বেগমের মৃত্যু হয়।
শুক্রবার সকালে নিহতের নাতি সুফল বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামি করে সেনবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ এ ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতার করে।
সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান মামলা ও গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৯
আরএ
