ঢাকা, শুক্রবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

না. গঞ্জে নবজাতক-প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় হাসপাতাল বন্ধ 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩২৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৯
না. গঞ্জে নবজাতক-প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় হাসপাতাল বন্ধ 

নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলায় চিকিৎসকের অবহেলায় একের পর এক নবজাতক ও প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগের ঘটনায় পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ফতুল্লা জেনারেল হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

বুধবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার ফতুল্লা বাজার এলাকায় হাসপাতাল ভবনে উপস্থিত হয়ে এ নির্দেশনা দেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. ইমতিয়াজ আহমেদ। এ সময় তার সঙ্গে সদর উপজেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো জাহিদুল ইসলাম, জেলা ড্রাগ সুপার ইকবাল হোসেন, জেলা হেলথ সুপার স্বপন দেবনাথ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গত রোববার (২০ অক্টোবর) চিকিৎসকের অবহেলায় এ হাসপাতালে এক নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে। ওই ঘটনায় মঙ্গলবার হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে রোগীর সব কাগজপত্র দেখতে চান সিভিল সার্জন। সে সময় কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিকভাবে কাগজপত্র দেখাতে না পারায় ২৪ ঘণ্টার সময় বেঁধে দেওয়া হয়। কিন্তু সে সময় অতিবাহিত হওয়ার পরও কাগজপত্র দেখাতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।

এদিকে মঙ্গলবার রাতেই চিকিৎসকের অবহেলায় এ হাসপাতালে নতুন করে সুমি আক্তার (৩২) নামে এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে। এসব অভিযোগ ও হাসপাতালের আরও কিছু অব্যবস্থপনার পরিপ্রেক্ষিতেই বুধবার পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত হাসপাতালের সব কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।  

এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন বলেন, হাসাপাতালে পৃথকভাবে নবজাতক ও প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগে হাসপাতালে অভিযান চালানো হয়। এর মধ্যে এক নবজাতক চিকিৎসকের অবহেলায় মারা গেছে, এমন অভিযোগ পেয়ে সরেজমিনে হাসপাতাল পরিদর্শন করি। এবং কর্তৃপক্ষের কাছে নবজাতকসহ প্রসূতির ভর্তিসংক্রান্ত কাগজপত্র দেখতে চাইলে তারা সেটি দেখাতে পারেনি। পরের দিন বুধবার খবর পাই একই হাসাপাতালে সুমি আক্তার নামের আরেক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। দুটি ঘটনায় হাসপাতালের অনেক অনিয়ম পাওয়া যায়।

‘একটি হাসপাতালে রোগী ভর্তি, চিকিৎসা সংক্রান্ত কাগজপত্র থাকবে না, এটা তো হতে পারে না। বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনার জন্য হয়েছে। আমরা আপাতত সাময়িকভাবে হাসপাতালটিকে বন্ধ ঘোষণা করেছি। পরবর্তীতে নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এর সব কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। ’

গত রোববার চিকিৎসকের অবহেলায় নবজাতক মারা যাওয়ার ঘটনায় ফতুল্লা থানায় অভিযোগ করেন শিশুটির বাবা মাসুম। কিন্তু পরবর্তীতে কয়েকজনের হুমকিতে সে অভিযোগ তুলে নেন তিনি। পরবর্তীতে বিপুল অঙ্কের টাকার বিনিময়ে ওই ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয় বলেও অভিযোগ রয়েছে। অন্যদিকে প্রসূতি সুমি আক্তারের মৃত্যুর ঘটনাও ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু একপর্যায়ে হাসপাতালের এসব বিষয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পেলে সিভিল সার্জনের দৃষ্টি আকর্ষিত হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯২২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৯
এইচজে 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।