ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সাক্ষাৎকার দেয়ায় জেলেকে মারধর ঘটনার মূল অভিযুক্ত গ্রেফতার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৯
সাক্ষাৎকার দেয়ায় জেলেকে মারধর ঘটনার মূল অভিযুক্ত গ্রেফতার আহত শম্ভু ও গ্রেফতারকৃত শাহিন। ছবি: বাংলানিউজ

গাইবান্ধা: গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় সরকারি জলাশয় ইজারায় অনিয়ম নিয়ে টিভিতে সাক্ষাৎকার দেওয়ায় শ্রী সম্ভু হাওলাদার (৩৮) নামে এক জেলেকে মারধরের ঘটনার মূল অভিযুক্ত শাহিন মিয়াকে (৪৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে এ ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হলো।

বুধবার (২৩ অক্টোবর) সকালে শাহিনের গ্রেফতারের বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেন গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান।

তিনি বলেন, ঘটনার পর থেকে আত্মগোপনে থাকা শাহিনকে গ্রেফতারে তৎপর ছিল পুলিশ।

অবশেষে মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দিনগত রাত দেড়টার দিকে বগুড়া থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

শাহিন মিয়া উপজেলার শাখাহার ইউনিয়নের দইহারা গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে।

এ ঘটনায় আটক অপর চারজন হলেন- উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের শ্রীমুখ গ্রামের নুরুল আমিন চেংটুর ছেলে রাসেল (২৭), আব্দুর রশিদের ছেলে মোনারুল (২৮), মোজাহার আলীর ছেলে আনু মিয়া (৩৫) ও শিবপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রাসেল মিয়া (২৫)

শনিবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার কোচাশহর ইউনিয়নের কোচাশহর বাজারে শাহীন মিয়ার নেতৃত্বে জেলে সম্ভু হাওলাদারের  ওপর হামলা চালায় একদল সন্ত্রাসী।

নির্যাতনের শিকার শ্রী সম্ভু হাওলাদার উপজেলার মহিমাগঞ্জ মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি ও মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের জিরাই গ্রামের মৃত চৈতা হাওলাদারের ছেলে।

পুলিশ ও সম্ভুর পরিবার জানায়, শনিবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে  শাহিন মিয়া ও তার কয়েকজন সহযোগী সম্ভু হাওলাদারকে নিজ বাড়ি থেকে ডেকে পার্শ্ববর্তী কোচাশহর বাজারে নিয়ে যায়। পরে সেখানে তাকে বেদম মারধর করা হয়। এসময় চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে গাইবান্ধা জেলা সদর  হাসপাতালে ভর্তি করেন।

সম্ভু হাওলাদারের অভিযোগ, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার একাধিক সরকারি জলাশয় ইজারা দেওয়া নিয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের তালাশ অনুষ্ঠানে সম্প্রতি প্রচারিত হয়। সেখানে সম্ভু হাওলাদার
একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন। তিনি ওই সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘জাল যার জলাভূমি তার, এ স্লোগান এখন পরিবর্তন হয়েছে। এখন ক্ষমতা যার জলা তার। ’

তিনি কেন এ ধরনের সাক্ষাৎকার দিলেন- এ কারণে তাকে হত্যার উদ্দেশে ওই সন্ত্রাসীরা মারধর করেন।

রোববার (২০ অক্টোবর) রাতে উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক, পৌর কাউন্সিলর রিমন তালুকদার বাদী হয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলায় ১১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৮-১০ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৯
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad