ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

এবার​ কিউলেক্স মশা নিধন করবে ডিএনসিসি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৯
এবার​ কিউলেক্স মশা নিধন করবে ডিএনসিসি সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: এবার কিউলেক্স মশা নিধনে বিশেষ পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামতে যাচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। এজন্য ডিএনসিসি মেয়রের নেতৃত্বে এডিস ও কিউলেক্স মশা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম পরিচালনা পর্ষদ ও গঠন করবে সংস্থাটি।

বুধবার (২৩ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশানে ডিএনসিসি নগর ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কার্যক্রম সম্পর্কে গণমাধ্যমকর্মীদের জানান ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, গত ৭ অক্টোবর থেকে দুইজন কীটতত্ববিদ এবং ১০ জন শিক্ষানবিশ কীটতত্ববিদ নিয়ে ডিএনসিসি আওতাধীন ৬৩৫টি স্থানে কিউলেক্স নিয়ে সার্ভে করা হয়।

সেই সার্ভে প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আমরা কিছু কার্যক্রম গ্রহণ করি। সেগুলো কতটুকু ফলপ্রসূ হলো তা যাচাইয়ে ২০ অক্টোবর আবার পুনরায় সার্ভে করা হয় যেখানে ইতিবাচক ফলাফল আসে। বুধবার থেকে দু’সপ্তাহব্যাপী ‘বিশেষ কর্মসূচি’ গ্রহণ করে আমরা এখন এডিস মশার পাশাপাশি কিউলেক্স মশা নিধনে কাজ করবো। এজন্য বিদ্যমান ২৭০ জন মশক নিধনকর্মীর পাশাপাশি আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে প্রতি ওয়ার্ডে ৩০ জন করে এক হাজার ৬২০ জন মশক নিধনকর্মী কাজ করবেন। প্রতিটি ওয়ার্ডে ১০ জন মশক নিধন কার্যক্রমে (ফগিং, লার্ভিসাইডিং) থাকবেন। এছাড়া বাকি ২০ জন পাঁচটি গ্রুপে চারজন করে বিভক্ত হয়ে মশার প্রজনন বা উৎপত্তিস্থল ধ্বংস করবে।

মশক নিধন কার্যক্রমে ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের আরও বেশি সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ওয়ার্ড কাউন্সিলররা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। তাই তাদের কাজের জবাবদিহিতা রয়েছে জনগণের কাছে। প্রতিটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের এ বিষয়ে দায়িত্ব নিতে হবে। মাঠপর্যায়ে মশক নিধন কর্মীরা ঠিকমত কাজ করছেন কিনা, সব কাজ ঠিকমত হচ্ছে কিনা। এটি মনিটরিং করবে স্বাধীন নামে একটি কমিটি। পরে তারা নিরপেক্ষভাবে সঠিক প্রতিবেদন দেবে আমাদের।

কীটতত্ববিদদের সার্ভে প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে মেয়র বলেন, ডিএনসিসির ওয়ার্ডগুলো- ৫, ১১, ১৭, ২০,২৮, ৩১,৩২,৩৩ ও নম্বর ওয়ার্ড কিউলেক্স মশায় সব থেকে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে।

ডেনমার্কের সি-ফোরটি সম্মেলনে অংশগ্রহণ নিয়ে আতিকুল ইসলাম বলেন, ডেনমার্কে বিভিন্ন শহরের মেয়রদের সঙ্গে আমাদের মতবিনিময় সভা হয়েছে। সেখানে আমরা অগ্নি নির্বাপণের জন্য স্যাটেলাইট ফায়ার স্টেশন এবং স্কুলের জন্য ইলেকট্রিক গাড়ি দেখেছি। ডেনমার্ক সরকারের সঙ্গে আমাদের ইতোমধ্যে চুক্তি হয়েছে। অগ্নি নির্বাপণে এসব স্যাটেলাইট ফায়ার সার্ভিস খুব কাজে আসবে। অন্যরা এগুলো ব্যবহার করে ইতিবাচক ফলাফল পেয়েছে। আর স্কুলের শিক্ষার্থীদের জন্য পরিবেশবান্ধব ইলেকট্রিক গাড়ি দেবো আমরা এতে করে সড়কে যানজট কমবে।

ক্যাসিনোকাণ্ডে জড়িত ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন আতিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, কাউন্সিলরদের সরাসরি বহিষ্কার করার আইনি এখতিয়ার সিটি করপোরেশনের নেই। তবে তারা পরপর তিনবারের বেশি বোর্ড সভায় অনুপস্থিত আছেন। এজন্য ইতোমধ্যে নয়জন কাউন্সিলরকে কারণ দর্শানোর চিঠি দেওয়া হয়েছে। তারা সন্তোষজনক জবাব না দিলে আমরা চিঠি পাঠাবো মন্ত্রণালয়ে। মন্ত্রণালয় আইন মোতাবেক তাদের বহিষ্কার করবেন। এর বাইরে কেউ দোষী হলে আইনানুগ প্রক্রিয়ায় ব্যবস্থা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩,২০১৯
এসএইচএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।