ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

‘অনিয়ন্ত্রিত অভিবাসনের কারণে বেকারত্ব বাড়ছে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১২৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৯
‘অনিয়ন্ত্রিত অভিবাসনের কারণে বেকারত্ব বাড়ছে’ জলবায়ু পরিবর্তন পরিস্থিতি নিয়ে জাতীয় সম্মেলনে অতিথিরা। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: অনিয়ন্ত্রিত অভিবাসনের কারণে দেশে বস্তির সংখ্যা বাড়ছে। অনেক এলাকায় স্থানীয় জনগণের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটছে। এমনকি তাদের জন্য এলাকাগুলোর মূল ঐতিহ্য বদলে যাচ্ছে ও বেকারত্ব বাড়ছে বলে জানিয়েছেন পানি বিশেষজ্ঞ ও ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত। তিনি বলেন, এর কারণে এলাকার স্থানীয় জনগণ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। নিরাপত্তা নিশ্চিতের ক্ষেত্রে পানি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাসস্থানের পাশাপাশি কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরিতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আইএবি মিলনায়তনে জলবায়ু পরিবর্তনের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে চতুর্থবারের মতো জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনী দিনের আলোচনা পর্বে তিনি একথা বলেন। তিন দিনব্যাপী এ সম্মেলন চলবে আগামী বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) পর্যন্ত।

ব্র্যাক আয়োজিত আলোচনা পর্বের বিষয় ছিল ‘বাংলাদেশে অভিবাসীবান্ধব সহনশীল নগর তৈরিতে পাবলিক-প্রাইভেট-কমিউনিটি পার্টনারশিপ (পিপিসিপি)’।  

অভিবাসীদের নিজেদের পরিমণ্ডলে স্বাচ্ছ্যন্দে বসবাসের নিশ্চয়তার ক্ষেত্রে নিম্নতম গুণগত মান নিশ্চিত করতে আরও বেশি গুরুত্ব দেওয়ার আহবান জানান পরিবেশ অধিদপ্তরের জলবায়ু পরিবর্তন ও আন্তর্জাতিক সম্মেলনের ডিরেক্টর জনাব মির্জা শওকত আলী। তিনি বলেন, সরকারি পর্যায়ে পলিসি প্রণয়নের ক্ষেত্রে কমিউনিটির অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা উচিত।

এসময় ব্র্যাকের নগর উন্নয়ন কর্মসূচি ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক পরিচালক ড. মো. লিয়াকত আলী জানান, ‘আলট্রা পুওর’র একটি মডেল নগরের ক্ষেত্রে প্রয়োগের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে।  

নগর উন্নয়ন কর্মসূচির প্রধান হাসিনা মুশরফা বলেন, জলবায়ু সহনশীল নগর গঠনে বেসরকারি সংস্থাগুলোর (এনজিও) পাশাপাশি পাবলিক সংস্থাগুলোর (বিভিন্ন সরকারি সংস্থা ও সিটি করপোরেশন) সমান দায়িত্ব রয়েছে। নগরগুলোকে জলবায়ু সহনশীল হিসেবে গঠনে প্রণীত সব প্রজেক্ট ও মডেলগুলোকে কমিউনিটির সহযোগিতায় ‘স্পেশালি কমিউনিটি ড্রাইভেন অ্যাপ্রোচ’র মাধ্যমে গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি।

আলোচনায় আরও অংশ নেন সাতক্ষীরার পৌর মেয়রসহ জলবায়ু ও স্থানীয় প্রশাসনে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞরা।

আলোচনায় নগর পরিকল্পনা, অর্থায়ন ও ব্যবস্থাপনায় জলবায়ু-অভিবাসী বিষয়টি অন্তর্ভুক্তিকরণের ক্ষেত্রে নতুন ধারণা এবং সম্ভাবনার বিষয় অগ্রাধিকার পায়। পাশাপাশি, পাবলিক-প্রাইভেট-কমিউনিটি পার্টনারশিপ মডেলের মাধ্যমে অভিবাসীবান্ধব সহনশীল নগর গঠনে ব্র্যাকের অভিজ্ঞতা তুলে ধরা হয়।  

আয়োজকেরা জানান, বিশেষজ্ঞদের আলোচনায় পাওয়া নতুন চিন্তাধারা বা প্রতিক্রিয়া বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার নতুন পরিকল্পনা প্রণয়নে সহায়ক হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৯
এমএএম/একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।