ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ মে ২০২৪, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

রোহিঙ্গাদের রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে ইইউ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০১৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৯
রোহিঙ্গাদের রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে ইইউ যৌথ সংবাদ সম্মেলনে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আসাদুল ইসলাম ব্রিফ করছেন

ঢাকা: রোহিঙ্গাদের জন্য রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।

সোমবার (২১ অক্টোবর) রাতে আগারগাঁওয়ের এনইসি ভবনে আয়োজিত এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আসাদুল ইসলাম একথা বলেন।

তিনি বলেন, জিএসপি প্লাস পেতে আমরা একটি রোডম্যাপ তৈরি করেছি।

রোডম্যাপের মাধ্যমে আমরা এগিয়ে যাবো, যাতে ২০২৪ সালের মধ্যে আমরা জিএসপি প্লাস সুবিধা পেতে পারি।

তিনি বলেন, আমাদের অনেক ইস্যু নিয়ে আজ দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। ইকোনমিক ইস্যু, ডেভেলপমেন্ট ইস্যু, রোহিঙ্গা সংকট ইস্যুসহ মোট ১১টি প্রধান ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তিনটি সাব কমিটির (বাণিজ্য, মানবাধিকার, উন্নয়ন) অনেকগুলো এজেন্ডা ছিল সেগুলো আলোচনায় স্থান পেয়েছে। রোহিঙ্গা ইস্যুটি খুবই গুরুত্ব পেয়েছে আলোচনায়। এক্ষেত্রে তারা সব সহযোগিতা অব্যাহত রাখবেন বলে জানিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, ইইউ সবচেয়ে বড় ট্রেডিং পার্টনার বাংলাদেশের। ৭২ শতাংশ আমরা ইইউতে পাঠাই। সেদিক থেকে আমাদের বড় অংশীদার হচ্ছে ইইউ। রোহিঙ্গা ইস্যুতে আমরা একটি বড় সাপোর্ট ইইউ থেকে পাচ্ছি। এখানে বাংলাদেশের পজিশনটা আলোচনা হয়েছে।  

দ্বিপাক্ষিক ইস্যুগুলো নিয়ে স্বচ্ছ আলোচনা হয়েছে বলেও তিনি জানান।

তিনি বলেন, আমরা জিএসপি সুবিধা পাচ্ছি। পরবর্তীতে তারা জিএসপি প্লাস সুবিধা পাওয়ার জন্য আমাদের কী কাজ করতে হবে, কী ধরনের প্রিপারেশন নিতে হবে সেটিও আলোচনা হয়েছে। ইউ বলেছে এখন থেকে আমাদের প্রিপারেশন নিতে হবে।  

‘এরপর আমাদের লেবার অ্যাক্ট ইস্যুগুলো এসেছে আমরা সেগুলো কন্টিনিউ করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। লেবার অ্যাক্ট নিয়ে তাদের যে কমপ্লেইনগুলো আছে সেটি পূরণে কাজ করে যাচ্ছি। সব বিষয়গুলোতেই একটি ক্রমান্বয়ে উন্নতির সুযোগ থাকে সে বিষয়গুলো আমরা সেভাবেই দেখছি। ’

তিনি আরও বলেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় আলোচনা হয়েছে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে। আমরা এ বিষয়ে একটি প্রেজেন্টেশন তাদের  দিয়েছি এবং আমরা দেখিয়েছি জলবায়ু পরিবর্তনে আমাদের জন্য কত বড় থ্রেট। এটা ইইউ এবং আন্তর্জাতিক কমিটি থেকে যাতে পর্যাপ্ত সাপোর্ট পেতে পারি সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।  

ইউরোপীয় ইউনিয়নের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিভাগের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক পাওলা পাম্পালোনি বলেন, রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন চায় ইইউ। রোহিঙ্গা সংকট কাটাতে  ইইউ সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।

জিএসপি প্লাস পেতে বাংলাদেশকে কী করতে হবে এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এ বিষয়ে একটি রোডম্যাপ দেওয়া হয়েছে।  

এর আগে সোমবার (২১ অক্টোবর) সকাল পৌনে ১০টার দিকে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি-২ সভাকক্ষে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও বাংলাদেশ জয়েন্ট কমিশনের নবম সভা অনুষ্ঠিত হয়।  

সভায় অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আসাদুল ইসলাম বাংলাদেশের পক্ষে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিভাগের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক পাওলা পাম্পালোনি নেতৃত্ব দেন।  

এ বৈঠকের আগে আরও তিনটি সাব-কমিটির (বাণিজ্য, মানবাধিকার, উন্নয়ন) বৈঠক ১৭ ও ২০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হয়। সাব কমিটিগুলোর সদস্যরাও এ বৈঠকে অংশ নেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১৯
এসএমএকে/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।