ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

আনসার আল ইসলাম সদস্যদের উদ্দেশ্য ছিল ‘টার্গেট কিলিং’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১৯
আনসার আল ইসলাম সদস্যদের উদ্দেশ্য ছিল ‘টার্গেট কিলিং’ সংবাদ সম্মেলন।

ঢাকা: রাজধানীর গাবতলী ও সাভারের আমিনবাজার থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের আটক চার সদস্যদের পরিকল্পনা ছিল ‘টার্গেট কিলিং’।

সোমবার (২১ অক্টোবর) রাজধানীর কাওরান বাজারে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ানের (র‍্যাব) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

র‍্যাব-৪ এর অধিনায়ক (সিও) পুলিশের অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক মো. মোজাম্মেল হক বলেন, ‘আটক ৪ জঙ্গি সদস্য এখন আনসার আল ইসলামের হয়ে কাজ করলেও পূর্বে তারা হরকাতুল জিহাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিল।

হরকাতুল জিহাদ ভেঙে গেলে আনসার আল ইসলামে যোগ দেয় তারা। জঙ্গিদের লক্ষ্য ছিল দেশে ইসলামী খেলাফত প্রতিষ্ঠায় যারা বিরোধীতা করবে শাস্তি হিসেবে তাদের ‘টার্গেট কিলিং’ করা। এজন্য তারা সবসময় নিজেদের কাছে চাপাতি রাখতো। ’

‘জঙ্গি তৎপরতা, প্রশিক্ষণ ও করণীয় সম্পর্কে তারা নিজেদের মধ্যে অনলাইনে প্রটেক্টিভ অ্যাপস, প্রটেক্টিভ টেক্সট, প্রটেক্টিভ ব্রাউজারের মাধ্যমে যোগাযোগ করতো। তারা নির্ধারিত ফরমেটে সাপ্তাহিক প্রতিবেদন ও অগ্রগতি তাদের আমিরের কাছে দাখিল করতো। এ দলের সদস্যরা অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল বা ল্যাপটপের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রটেক্টিভ অ্যাপস, ম্যাসেঞ্জার ও ব্রাউজার ইত্যাদি ব্যবহার করে বিভিন্ন গ্রুপ তৈরি করে উগ্রবাদী সংবাদ, বই, উগ্রবাদী ব্লগ, উগ্রবাদে উৎসাহমূলক ভিডিও আপলোড ও শেয়ার করে নিয়মিত নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষা করে আসছিল। ’

আটক চার জঙ্গি।  ছবি: বাংলানিউজ

তিনি আরও বলেন, ‘জঙ্গিরা কাট-আউট মেথড অবলম্বন করছিল বিধায় তাদের শনাক্ত করা কঠিন ছিল। সহজে কেউ কারও সঙ্গে দেখা কিংবা সাক্ষাৎ করতো না, ফলে কেউ কাউকে চেনে না। তবে কোনো নাশকতার পরিকল্পনা, প্রশিক্ষণ, গোপনীয় তথ্য সরবারহ ও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে তারা একসঙ্গে হতো। ’

র‍্যাবের এ অধিনায়ক জানান, নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠনের এ সদস্যদের সঙ্গে আমরা আরও ২০-২৫ জন জঙ্গি সদস্যের লিঙ্ক পেয়েছি। তাদের সবাইকে আটকের চেষ্টা চলছে।

আটকের সময় তাদের হেফাজত থেকে ল্যাপটপ, অ্যান্ড্রয়েড ফোনসহ বেশ কয়েকটি ডিজিটাল ডিভাইস উদ্ধার করা হয়। সেখানে জঙ্গিবাদের প্রশিক্ষণের নানা ক্লিপস পাওয়া যায়। যেগুলো দেখে তারা উদ্বুদ্ধ হয় এবং নতুন সদস্য সংগ্রহ করে।

এর আগে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে রোববার (২০ অক্টোবর) দিনগত রাতে গাবতলী ও সাভারের আমিন বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে আনসার আল ইসলামের চার সক্রিয় সদস্যকে আটক করা হয়েছে। আটক জঙ্গিরা হলেন- মুফতি সাইফুল ইসলাম (৩৪), মো. সালিম মিয়া (৩০), জুনায়েদ (৩৭) ও আহম্মেদ সোহায়েল (২১)।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১
এমএমআই/এইচএডি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।