ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

'এসডিজি বাস্তবায়নে প্রাইভেট সেক্টরকে এগিয়ে আসতে হবে'

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১৯
'এসডিজি বাস্তবায়নে প্রাইভেট সেক্টরকে এগিয়ে আসতে হবে'

ঢাকা: টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়নে প্রাইভেট সেক্টরকে এগিয়ে আসতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোকাম্মেল হোসেইন। 

শনিবার (১৯ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশানে স্প্রেক্টা কনভেনশন সেন্টারে ‘হুইল জয়যাত্রা স্বচ্ছলতার পথে দু'জনে একসাথে’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে একথা বলেন মোকাম্মেল হোসেইন।  

তিনি বলেন, আজকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।

এই এগিয়ে যাওয়ায় সবাইকে শামিল হতে হবে। এসডিজি বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। এসডিজির জন্য ২৩২টি সূচক বাস্তবায়ন করতে হবে। এ লক্ষ্য সামনে রেখেই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। এখানে ১৭টি লক্ষ্য রয়েছে। সরকারের পক্ষে এককভাবে এসব পূরণ করা সম্ভব না। এর বাস্তবায়নে সমাজের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। বিশেষ করে প্রাইভেট সেক্টরকে এগিয়ে আসতে হবে। এসডিজি বাস্তবায়নে ইউনিলিভার এগিয়ে এসেছে এজন্য তাদের ধন্যবাদ জানাই। এটি একটি সুন্দর উদ্যোগ। গ্রামের উৎপাদনকে কিভাবে ছড়িয়ে দেওয়া যায়, তারা এটি নিয়ে কাজ করছে। সমাজে ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য কমাতে প্রাইভেট সেক্টরকে এগিয়ে আসতে হবে। এসডিজি বাস্তবায়নে প্রাইভেট সেক্টরের ভূমিকা অনেক বেশি।  

আলোচনা সভায় অনুষ্ঠানটির সহযোগী ইউনাইটেড পারপাসের বাংলাদেশে নিযুক্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর শ্রীরামাপ্পা গনচিকারা বলেন, আমরা আফ্রিকাসহ মোট ১৩টি দেশে নারীর ক্ষমতায়ন ও অগ্রযাত্রায় কাজ করছি। বাংলাদেশের জামালপুরে চল্লিশটি ক্ষুদ্রব্যবসার সঙ্গে আমরা সংযুক্ত। আরও কাজ করতে ইউনিলিভারের সঙ্গে কাজ করছি। এ কাজের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে আমরা গর্বিত।  

আলোচনায় ইউনিলিভার বাংলাদেশের হোম কেয়ার বিভাগের মার্কেটিং ডিরেক্টর তানজিন ফেরদৌস বলেন, আমাদের প্রতিটি ব্র্যান্ড সমাজের বিশেষ বিশেষ সমস্যা নিয়ে কাজ করবে। গ্রামবাংলার নারীরা নানা কাজে পারদর্শী হলেও সামাজিক সীমাবদ্ধতা ও তথ্যের অভাবে আয়ের পথ খুঁজে নিতে পারেন না। এতে করে বহু পরিবারের আয়ের স্বপ্ন অপূর্ণ রয়ে যাচ্ছে। হুইল জয়যাত্রা ক্যাম্পেইন হলো গ্রামীণ নারী ও পুরুষদের অর্থনৈতিক বিভিন্ন কাজে অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করার একটি চেষ্টা।

‘বাংলাদেশের ১০টির মধ্যে ৯টি পরিবারেই হুইল একটি সমাদৃত ব্র্যান্ড। বাংলাদেশের বাজারে সত্তরের দশক থেকেই নারীদের দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে এটি জড়িয়ে আছে। তাই হুইল এ নিবিড় সম্পর্ক কাজে লাগিয়ে সামাজিক পরিবর্তনে এ ক্যাম্পেইনটি তৈরি করেছে। হুইল যাত্রা ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে তৈরি করা হয়েছে বিভিন্ন নাটিকা ও টিভি বিজ্ঞাপন। এ ক্যাম্পেইনটি প্রত্যন্ত গ্রামে নিয়ে যাওয়ার জন্য ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেডের পার্টনার হিসেবে কাজ করছে ইউকেভিত্তিক এনজিও সংস্থা ইউনাইটেড পারপাস। ইউনাইটেড পারপাস বাংলাদেশে দারিদ্র্য বিমোচন ও সামাজিক উন্নয়নে ২০ বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছে। ’ 

হুইল জয়যাত্রা ক্যাম্পেইনটি প্রথম পর্যায়ে জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলায় কাজ শুরু করে। কয়েক হাজার নারী ও পুরুষকে পরিবর্তনে উদ্বুদ্ধ করতে নান কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে নারীদের জন্য উঠান বৈঠক ও পুরুষদের হাট আলোচনা। গ্রামপর্যায়ে কার্যক্রম শেষে আয়োজন করা হবে তিন দিনব্যাপী এক মেলার। সেখানে থাকবে গ্রামীণ নারীদের বানানো বিভিন্ন পণ্য। প্রথম মেলাটি অনুষ্ঠিত হবে জামালপুরের সরিষাবাড়ীত। এই মেলার মাধ্যমেই প্রথমবারের মতো গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলের অনেক নারীরা তাদের পণ্য বা সেবা দিয়ে ব্যবসার সুযোগ পাবেন। এ অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যতে নারীরা তাদের পরিবারের জন্য বাড়তি উপার্জনের পথও তৈরি করতে পারবেন।  

মেলায় নিয়মিত ব্যবসা বাণিজ্যের পাশাপাশি অংশগ্রহণকারীদের আকৃষ্ট করতে থাকবে আকর্ষণীয় পুরস্কার ও র্যাফেল ড্রয়ের ব্যবস্থা। সবচেয়ে ভালো ব্যবসাপরিচালনাকারী নারী প্রথম দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কার হিসেবে জিতে নিতে পারবেন যথাক্রমে ৫০, ৩০ ও ২০ হাজার টাকা। বিজয়ীরা সে অর্থ বিনিয়োগের মাধ্যমে নিজেদের ব্যবসা এগিয়ে নিতে পারবেন। এছাড়া গ্রামীণ নারীদের উদ্বুদ্ধ করতে বিজয়ী তিন দম্পতির ছবি ও গল্প ছাপা হবে হুইলের প্যাকেটে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১৯
এসএমএকে/এইচজে 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ