ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

‘রোহিঙ্গা শিবিরে বন-পরিবেশের ক্ষতি বাড়তে দেওয়া যাবে না’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০১৯
‘রোহিঙ্গা শিবিরে বন-পরিবেশের ক্ষতি বাড়তে দেওয়া যাবে না’ বৈঠকে বক্তব্য রাখছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী। ছবি: বাংলানিউজ

কক্সবাজার: পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, শুধু পাহাড় কাটা নয়, রোহিঙ্গারা পাহাড়-বন থেকে জ্বালানি কাঠ সংগ্রহ করতো সেটা আর করতে দেওয়া হবে না। এছাড়াও বন ও পরিবেশের ক্ষতি নিরূপণ এবং ভবিষ্যতে যাতে আর কোনো ধরনের ক্ষতি না হয় সে বিষয়ে পরিকল্পিতভাবে কাজ করা হবে।

শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের শহীদ এটিএম জাফর আলম সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির অষ্টম বৈঠকে এ সব কথা বলেন।
  
সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে বন-পরিবেশের ক্ষতি আর বাড়তে দেওয়া যাবে না।

এটা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনাও রয়েছে। এখন সেই নির্দেশনা বাস্তবায়নের কাজ করা হবে।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গা শিবিরে নতুন করে কীভাবে বনায়ন করা যায়, পানির সমস্যা কীভাবে মেটানো যায়, হাতির করিডোর কীভাবে উন্মুক্ত রাখা যায়, বায়োডায়ভারসিটি কীভাবে ফিরিয়ে আনা যায় এ সব বিষয়গুলো নিয়ে একটা দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা করা হবে। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ চলবে।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির  সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কমিটির সদস্যদের মধ্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, উপ-মন্ত্রী হাবিবুন নাহার, সংসদ সদস্য (এমপি) জাফর আলম, রেজাউল করিম বাবলু, খোদেজা নাসরিন আকতার হোসেন, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব আব্দুল্লাহ আল মোহসীন চৌধুরী এবং অন্যান্যদের মধ্যে প্রধান বন সংরক্ষক মোহাম্মদ সফিউল আলম চৌধুরী, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. একে এম রফিক আহম্মদ, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. কামাল হোসেন, পুলিশ সুপার (এসপি) এবি এম মাসুদ হোসেন প্রমুখ।

বৈঠকে রোহিঙ্গাদের কারণে পরিবেশ ও জীববৈচিত্রের কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে, কতটুকু ক্ষতি পুনরুদ্ধার করা যায় এবং ক্ষতি প্রতিরোধে সম্ভব্য উপায় গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি দ্বারা নির্ণয়ের সুপারিশ করা হয়।

ক্লিন এয়ার অ্যান্ড সাসটেইনএবল এনভায়রনমেন্ট প্রকল্পের মাধ্যমে কি অর্জিত হয়েছে এবং এর ফলে গুণগত কী প্রভাব পড়েছে তা পরবর্তী বৈঠকে উপস্থাপনের সুপারিশ করা হয়। এছাড়া রোহিঙ্গাদের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত পানি সরবরাহের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কমিটি সুপারিশ করবে বলে জানা গেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০১৯
এসবি/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।