ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

নগরে কুয়াশার আলপনায় শীতের পদচিহ্ন

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭১৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০১৯
নগরে কুয়াশার আলপনায় শীতের পদচিহ্ন কুয়াশাচ্ছন্ন রাত। ছবি: বাংলানিউজ

নেত্রকোনা: বিকেলের পর আর সন্ধ্যার শুরুতে নেত্রকোনা শহরে ল্যাম্পপোস্টের স্বচ্ছ আলোও ঢেকে দিচ্ছে কুয়াশার আলপনা। গ্রামাঞ্চলের পর যান্ত্রিক নগরেও দৃশ্যমান এখন শীতের পদচিহ্ন। যদিও সপ্তাহ সময় আগ থেকেই হিমেল বাতাস কবি-শিল্পীদের কানে কানে পৌঁছে দিয়েছিলো শীতের আগাম বার্তা। তবে, এবার তা সবার কাছে দৃশ্যমান।

প্রতিদিন পড়ন্ত বিকেল থেকে বইতে শুরু করে মৃদু হিমেল বাতাস। আর রাত ভারি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গাছের পাতায় টুপটাপ শব্দ করে ঝরে পড়ে কুয়াশা।

সবুজ ঘাসের বুকে মুক্ত দানায় ঝিকমিক করে উঠা সকালের শিশিরবিন্দু বলে যায় শীতের কথা।

প্রকৃতির পরিবর্তন টের পেয়ে ব্যবসায়ী চিন্তায় নিজেদের গুছিয়ে নিয়েছে শহরের ফুটপাত দখলকারী আর ভাসমান পিঠা-ডিম বিক্রেতারা। এরই মধ্যে তারা শহরে হাঁকডাক শুরু করেছেন। ভোজন বিলাসী ক্রেতা টানতে পরিপূর্ণ শীতে তাদের এই ডাক-চিৎকারে পুরো শহর থাকবে এই হকারদের দখলে।

আবহাওয়ার পরিবর্তন ঘটেছে। বিকেল হলেই বোঝা যায় পড়েছে শীত। রাতে বিছানায় পরিস্থিতি মোকাবিলায় গায়ে কম্বল বা হাল্কা-পাতলা কাঁথা গায়ে জড়াতে হয় বলেও মন্তব্য করেন সরকারি কর্মকর্তা তপন বাকালি ও মো. জুয়েল খান।

বাংলানিউজকে তারা জানান, বর্ষা শেষ হওয়ার কয়েকদিন আগ থেকেই তাপমাত্রা নামতে শুরু করেছিলো। আর এখন তার পুরোপুরি প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

এদিকে শহরের খতিবনগুয়ার বাসিন্দা রিকশাচালক সামছু উদ্দিন ও বালিবাজারের তোতা মিয়া বাংলানিউজকে জানান, রাতে এখন শহরের সড়ক বাতির আলো থেকে বেরিয়ে শহরতলী এলকায় রিকশায় যাত্রী নিয়ে গেলে কুয়াশায় পথ চলতে সমস্যা হয়। অন্যান্য বছরের তুলনায় চলতি বছরে শীতের দাপট বেশি হবে বলেই মনে করছেন মেহনতকারী এই মানুষেরা।

বাংলাদেশ সময়: ০৩১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০১৯
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।