ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

কমিউনিটি ক্লিনিকের অনিয়ম বন্ধে কঠোর নির্দেশ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০১৯
কমিউনিটি ক্লিনিকের অনিয়ম বন্ধে কঠোর নির্দেশ

হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর অনিয়ম বন্ধে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন সিলেট স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক ডা. দেবপাদ রায়। ভবিষ্যতে অনিয়মের প্রমাণ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। 

‘কমিউনিটি ক্লিনিকে সীমাহীন অনিয়ম, সেবাবঞ্চিত হাওরবাসী’ শিরোনামে বাংলানিউজকে সংবাদ প্রকাশের পর হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলার আজিমনগর কমিউনিটি ক্লিনিক পরিদর্শন করন তিনি। এ সময় হাওরাঞ্চলের সব ক্লিনিকের খোঁজ-খবর নেন এই কর্মকর্তা।

পরিদর্শনের পর ডা. দেবপাদ রায় বাংলানিউজকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনন্য উদ্যোগ হচ্ছে সারাদেশের কমিউনিটি ক্লিনিক। প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের সেবা নিশ্চিতের লক্ষ্যেই এ কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করা হয়। এ ব্যাপারে অনিয়ম কোনভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।

পরিদর্শনকালে তিনি বিভিন্ন অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত সবগুলো কমিউনিটি ক্লিনিক চালু রাখার নির্দেশ দিয়েছি। ভবিষ্যতে অনিয়ম হলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।

পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন- আজমিরীগঞ্জ উপজেলার ভারপ্রাপ্ত পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মঈন উদ্দিন আলমগীর, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. ফারহান লিয়াকত অনিক, ডা. খালেদ মাহমুদ, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শাহ আলম প্রমুখ।

সম্প্রতি আজমিরীগঞ্জ উপজেলার আজিমপুর কমিউনিটি ক্লিনিকটি সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত তালাবদ্ধ ছিল। এ ব্যাপারে জানার জন্য মোবাইল ফোনে বার বার কল দেওয়ার পরও রিসিভ করেননি দায়িত্বরত হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার। পরে দুপুর আড়াইটার দিকে জানা যায় তিনি উপজেলার বাইরে। স্থানীয়রা জানান, এটা এ কমিউনিটি ক্লিনিকের প্রায় রোজকার চিত্র।

শুধু আজিমনগরই নয় সম্প্রতি কয়েকদিনে হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলার পাহাড়পুর, জলসুখা, বদলপুর ও কাকাইলছেও এবং বানিয়াচং উপজেলার কাদিরগঞ্জ, কাগাপাশা এবং দৌলতপুর এলাকার ছয়টি কমিউনিটি ক্লিনিকে গিয়ে পাওয়া যায়নি দায়িত্বপ্রাপ্ত কাউকে। অভিযোগ রয়েছে- নিজেদের খেয়াল-খুশিমতো ক্লিনিক খুলে কিছুক্ষণ বসে তালাবদ্ধ করে চলে যান কর্মচারীরা। এছাড়া প্রত্যন্ত অঞ্চলের রোগীদের বিনামূল্যে ৩০ প্রকার ওষুধ দেওয়ার কথা থাকলেও দেওয়া হচ্ছে না কাউকে। এ ব্যাপারে বাংলানিউজে সংবাদ প্রকাশ হলে হবিগঞ্জের সিভিল সার্জন একেএম মোস্তাফিজুর রহমান পরিদর্শনে যান এবং কর্মরত হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার সুব্রত কুমার হালদারকে শোকজ করে ৩ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন।

হবিগঞ্জ সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জেলায় মোট কমিউনিটি ক্লিনিকের সংখ্যা ২১৪টি। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ২৬, লাখাই ১৭, মাধবপুরে ৩৬, চুনারুঘাটে ৩৩, নবীগঞ্জে ৩৮, বাহুবলে ১৯, বানিয়াচংয়ে ২৯ এবং আজমিরীগঞ্জে রয়েছে ১৬টি। এসবের প্রত্যেকটিতে একটি ভবনে একজন করে কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার নিযুক্ত আছেন। তবে আজমিরীগঞ্জ উপজেলার ১৩টিতে ভবন থাকলেও অন্য তিনটি পরিচালিত হচ্ছে অস্থায়ীভাবে ব্যক্তি মালিকানাধীন বাড়িতে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১৯
এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।