ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

চেন্নাইতে হচ্ছে বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনারের কার্যালয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১৯
চেন্নাইতে হচ্ছে বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনারের কার্যালয় বক্তব্য রাখছেন রীভা গাঙ্গুলি দাশ। ছবি: জিএম মুজিবুর

ঢাকা: বাংলাদেশ থেকে অনেকেই ভারতে চিকিৎসার জন্য যান। সবচেয়ে বেশি যান চেন্নাইতে। এজন্য সেখানে বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনারের একটি কার্যালয় চালু করা হবে। ইতোমধ্যে এটি স্থাপনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাশ। 

বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (নিটোর) ভারতীয় হাইকমিশন আয়োজিত পাঁচশ’টি নকল পা (লিম্ব) প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। মহাত্মা গান্ধীর ১৫০তম জন্মদিন উপলক্ষে জয়পুর ফুট আর্টিফিশিয়াল লিম্ব ফিটমেন্ট ক্যাম্পের মাধ্যমে পা হারানো ব্যক্তিদের বিনামূল্যে এসব নকল পা দেওয়া হচ্ছে।

 

রীভা গাঙ্গুলি বলেন, সম্প্রতি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফল সফর শেষ করেছেন। বাংলাদেশ যে উন্নয়ন করেছে, তা দেখে ভারতসহ বিশ্বের অনেক দেশ এখানে বিনিয়োগ করতে আগ্রহ প্রকাশ করছে। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক দিন দিন ভালো হচ্ছে। যার প্রমাণ হিসেবে দেখা যায়, গত বছর আমরা ১৪ দশমিক ৮ লাখ বাংলাদেশিদের ভিসা দিয়েছি। এবছর তা আরও বাড়ছে। ভারত গত বছর বাংলাদেশের সঙ্গে ১০ বিলিয়ন ডলারের ব্যবসা করেছে।  

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে বাংলাদেশের জন্মলগ্ন থেকেই কাজ করছে ভারত। বর্তমানে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সঙ্গেও সেই ধারাতেই সম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে ভারত বেশি গুরুত্ব দেয়। কারণ, বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিকসহ সব ধরনের লেনদেন হয়ে থাকে।  

বিশ্বের অনেক দেশে ‘মানবতার উদ্দেশ্যে ভারত’ স্লোগানকে সামনে রেখে বিভিন্ন সহযোগিতামূলক কাজ করা হয় উল্লেখ করে ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, কৃত্রিম পা অনেকের জীবন বদলে দিয়েছে। এই পা দিয়ে ভারতে একজন ১৩বার ম্যারাথনে অংশগ্রহণ করেছেন। আর এই পা হারানোর ঘটনা সড়ক দুর্ঘটনার জন্যই সবচেয়ে বেশি হয়। তাই, দুর্ঘটনা প্রতিরোধে ভারতে যেভাবে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়, সেভাবেই বাংলাদেশে কিছু একটা করার চিন্তাভাবনা করছি আমরা। বাংলাদেশ সরকারকেও এ কাজে অগ্রসর হওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।  

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম বলেন, আমরা আমাদের স্বাস্থ্যসেবার মূল প্রোগ্রামে এই কাজ যুক্ত করবো। কারণ, এর প্রয়োজনীয়তা ব্যাপক। স্বাস্থ্য খাতে ভারতের সঙ্গে আমরা দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছি। তবে, এ ধরনের কাজ আমরা নিজেরাও করতে পারি। শুধু উদ্যোগ দরকার।  

নিটোরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. আব্দুল গণি মোল্লার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় হাইকমিশনের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের পরিচালক সতীশ মেহতাসহ হাসপাতালের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ভারতীয় হাইকমিশনের অতিথিরা।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১৯
এমএএম/একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।