ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ছেঁউড়িয়ায় বসেছে সাধুর হাট, সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১৯
ছেঁউড়িয়ায় বসেছে সাধুর হাট, সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন লালর আখড়াবাড়ি। ছবি: বাংলানিউজ

কুষ্টিয়া: বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহ্ এর ১২৯তম তিরোধান দিবস উপলক্ষে কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়ার লালন আখড়াবাড়ীতে তিন দিনব্যাপী লালনমেলা শুরু হচ্ছে। 

বুধবার (১৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় লালন একাডেমি চত্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে এ মেলার উদ্বোধন করা হবে।

ইতোমধ্যেই লালন একাডেমি চত্বর ও লালন আখড়াবাড়ী দেশের বিভিন্ন স্থানের সাধু ভক্তদের আগমনে মুখরিত হয়ে উঠেছে।

দেশের তথা দেশের বাইরে থেকেও লালন ভক্তপ্রেমিদের আগমন ঘটে এই আখড়াবাড়ীতে। গুরু ভক্তির মধ্য দিয়ে সন্ধ্যায় শুরু হবে সাধুসঙ্গের মূল আনুষ্ঠানিকতা।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া সদর আসনের সংসদ সদস্য মাহবুব উল আলম হানিফ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনের সংসদ সদস্য হাসানুল হক ইনু, কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনের সংসদ সদস্য আ কা ম সরওয়ার জাহান, কুষ্টিয়া-৪ (খোকসা-কুমারখালী) আসনের সংসদ সদস্য সেলিম আলতাফ জর্জ, পুলিশের খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন, কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাত, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর উদ্দিন খাঁন, সাধারণ সম্পাদক আজগার আলী, কুষ্টিয়া কোর্টের পিপি অ্যাডভোকেট অনুপ কুমার নন্দী।

লালন আখড়াবাড়িতে সাধুসঙ্গদের ভিড়।  ছবি: বাংলানিউজপ্রধান আলোচক হিসেবে আলোচনা করবেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. শাহিনুর রহমান। আলোচক হিসেবে আলোচনা করবেন লালন মাজারের খাদেম মোহাম্মদ আলী। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখবেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আজাদ জাহান, স্বাগত বক্তব্য রাখবেন নেজারত ডেপুটি কালেক্টর এ বি এম আরিফুল ইসলাম।  

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করবেন কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন।

এদিকে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা সাধুরা ইতোমধ্যে তাদের শিষ্যদের লালনের জীবনাদর্শন সম্পর্কে জ্ঞান দিচ্ছেন। নিজস্ব বিভিন্ন বাধ্যযন্ত্র দিয়ে গেয়ে চলেছেন লালনের গান।

দৌলতপুর থেকে আসা ফকির নজিরত শাহ্ জানান, এই দিনটি আমাদের জন্য খুবই বেদনাদায়ক। সাঁইজি এই দিনে তার দেহ ত্যাগ করেছেন। আমরা সাধু-ভক্তরা সাধুসঙ্গের মধ্য দিয়ে এই দিবসটি পালন করি।

তিনি আরও বলেন, এখানে আসতে কারো দাওয়াতের প্রয়োজন হয় না। যত দূরেই থাকি না কেনো সাঁইজির টানেই সাধুরা চলে আসে।

লালন একাডেমির সার্বিক তত্ত্বাবধায়ক (খাদেম) মোহাম্মদ আলী জানান, সাঁইজির ১২৯তম তিরোধান দিবস উপলক্ষে তার সাধন-ভজনের তীর্থস্থান ছেঁউড়িয়ার আখড়াবাড়ি প্রাঙ্গণে সাধু-ভক্তরা ইতোমধ্যেই চলে এসেছেন। সন্ধ্যায় সাধুদের মূল কার্যক্রম শুরু হবে। বৃহস্পতিবার সকালে বাল্যসেবা, দুপুরে পূণ্যসেবার মধ্যদিয়ে সাধুদের সাধুসঙ্গ শেষ হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১৯
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad