ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সরকারি সহায়তা পাননি সোনাগাজীর জেলেরা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১৯
সরকারি সহায়তা পাননি সোনাগাজীর জেলেরা

ফেনী: প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষায় ২২দিন নদীতে মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। কিন্তু নিষেধাজ্ঞার সপ্তাহ পার হয়ে যাওয়ার পরও ফেনীর সোনাগাজীতে নিবন্ধিত জেলে পরিবারের কাছে এখন পৌঁছায়নি সরকারি সহায়তা পৌঁছায়নি। 

ভুক্তভোগীরা বলছেন, নদীতে মাছ ধরতে না পেরে তাদের আয় বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে জেলেরা দুর্বিসহ জীবন-যাপন করছেন।

পেটের দায়ে ঋণ নিয়েও সংসার চালাতে বাধ্য হচ্ছেন অনেকে।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, উপজেলার চর দরবেশ, চর চান্দিয়া, সোনাগাজী সদর ও আমিরাবাদ ইউনিয়নে ১ হাজার ৮৪২ জন নিবন্ধিত জেলে রয়েছেন। এর মধ্যে কার্ডধারী জেলের সংখ্যা ১ হাজার ৪২১ জন।  

তবে জেলেরা বলছেন, এ চারটি ইউনিয়নে জেলের সংখ্যা প্রায় ৩ হাজারের বেশি।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ইলিশের প্রজনন নিরাপদ করার জন্য মৎস্য বিভাগ মাছ ধরার ওপর এ নিষেধাজ্ঞা জারি করায় এসময়ে নদীর মাছ ধরা, বেচাকেনা, পরিবহন, মজুদ ও বিনিময় করা যাবে না। এ নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মাঠে থেকে কাজ করছেন।  
প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগের পক্ষ থেকে এ ২২দিন নদীতে মাছ ধরা থেকে বিরত থাকার জন্য জেলেদের প্রতি আহবান জানানো হয়।

জানা যায়, উপজেলার চারটি ইউনিয়নে এক হাজার ৮৪২ জন নিবন্ধিত জেলে থাকলেও সরকারিভাবে ৫০০ জনের জন্য ২০ কেজি করে চাল বরাদ্ধ পাওয়া গেছে। যা আগামী দু’একদিনের মধ্যে বিতরণ করা হবে। বাকি ১ হাজার ৩৪২ জন জেলের জন্য সহায়তা পেলে তাঁদের মধ্যে বিতরণ করা হবে।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার চর খোন্দকার, দক্ষিণ পূর্ব চর চান্দিয়া ও পূর্ব চর চান্দিয়া এলাকার জেলেপাড়ায় সহায়তা না পেয়ে জেলেরা অনেক কষ্টে জীবিকা নির্বাহ করছেন।

নিবন্ধিত জেলেরা জানান, সোনাগাজীতে প্রায় ৩ হাজার জেলে পরিবার রয়েছে। সরকারিভাবে ১ হাজার ৮৪২ জেলেকে নিবন্ধিত করা হয়। মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞার সময়ে নিবন্ধিত জেলেরাও সরকারি সহায়তা না পেয়ে মহাজনদের কাছ থেকে চড়া সুদে ঋণ নিয়ে সংসার চালাচ্ছেন।

চর খোন্দকার জেলে পাড়ার প্রিয় লাল জলদাস বলেন, নদীতে মাছ ধরা বন্ধ। অনেক কষ্টে তাদের জীবিকা নির্বাহ করতে হচ্ছে। কেউ কেউ বিভিন্ন সড়কের পাশে জলাশয় ও পুকুর থেকে মাছ ধরে বিক্রি করে পরিবারের খাবার জোগাড়ের ব্যবস্থা করছেন। অনেক জেলে বিভিন্ন এনজিওর কাছ থেকেও ঋণ নিয়েছেন। নদীতে মাছ ধরতে না পারায় ঋণের টাকা পরিশোধ করতে পারছেন না তারা।

জানতে চাইলে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তূর্য সাহা বলেন, ২২দিন নদীতে মাছ ধরা বন্ধ রয়েছে। এসময়ে জেলেদের সুবিধার্থে সরকারিভাবে নিবন্ধিত ১হাজার ৮৪২ জেলের মধ্যে ৫০০ পরিবারকে ২০ কেজি করে চাল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। সরকারিভাবে আর কোনো সাহায্য আসেনি। তবে আরও সাহায্য পাওয়ার জন্য উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন পাঠানো হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সোহেল পারভেজ বলেন, সরকারিভাবে বরাদ্দ পাওয়া মাত্র জেলেদের মধ্যে তা বিতরণ করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১০৫৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১৯
এসএইচডি/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।