ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

অগ্নিনির্বাপনে সক্ষমতা দেখালো বসুন্ধরা সিটি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৯
অগ্নিনির্বাপনে সক্ষমতা দেখালো বসুন্ধরা সিটি অগ্নিনির্বাপন মহড়ায় বসুন্ধরা গ্রুপের বিভিন্ন ইউনিটের ফায়ার বিভাগের প্রতিনিধিরা। ছবি: ডি এইচ বাদল

ঢাকা: ফায়ার ফাইটিং বা অগ্নিনির্বাপনে সক্ষমতা দেখালো দেশের বৃহত্তম শপিং কমপ্লেক্স বসুন্ধরা সিটি। এক মহড়ায় নিজেদের এমন সক্ষমতার জানান দিয়েছে জমজমাট এ বিপণন কেন্দ্র।

মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) রাজধানীর পান্থপথে বসুন্ধরা সিটিতে আয়োজন হয় এক ফায়ার ড্রিলের। বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এবং বসুন্ধরা সিটি কর্তৃপক্ষের যৌথ উদ্যোগে এ অগ্নিনির্বাপন ও প্রতিরোধ মহড়া অনুষ্ঠিত হয়।

 

এ মহড়ার নেতৃত্ব দেন বসুন্ধরা সিটির ঊর্ধ্বতন মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন, মানবসম্পদ ও নিরাপত্তা) মেজর (অব.) মোল্লা মুশতাক রেজা। তত্ত্বাবধানে ছিলেন ফায়ার অ্যান্ড সেফটি বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর কবির। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স টিমের নেতৃত্ব দেন তেজগাঁও ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার ফয়সাল উর রহমান। এছাড়া বসুন্ধরা সিটি ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের সব ফায়ার অ্যান্ড সেফটি ও নিরাপত্তা, বিদ্যুৎ, যান্ত্রিক, সিভিল, কেয়ার অ্যান্ড ক্লিন ডিপার্টমেন্টগুলোর নির্বাচিত কর্মীরা এবং বসুন্ধরা গ্রুপের বিভিন্ন ইউনিটের ফায়ার বিভাগের প্রতিনিধিরা এ মহড়ায় অংশ নেন।  
অগ্নিনির্বাপণ মহড়ায় বসুন্ধরা গ্রুপের বিভিন্ন ইউনিটের ফায়ার বিভাগের প্রতিনিধিরা।  ছবি: ডি এইচ বাদলমহড়া শেষে বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সে কর্মরত বিভিন্ন বিভাগের কর্মী ও বিভিন্ন দোকানের কর্মীদের অগ্নিনির্বাপনের তাৎক্ষণিক কিছু কৌশল সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা।

এ মহড়া সম্পর্কে বসুন্ধরা সিটির ঊর্ধ্বতন মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন, মানবসম্পদ ও নিরাপত্তা) মেজর (অব.) মোল্লা মুশতাক রেজা বলেন, পরীক্ষামূলকভাবে এ ধরনের আয়োজনের উদ্দেশ্য হচ্ছে সবাইকে অগ্নিকাণ্ড সম্পর্কে সতর্ক এবং সচেতন করা। কারণ অসতর্কতা থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূচনা হয়। আর অসচেতনতা থেকে এর ক্ষয়ক্ষতি বাড়ে। ফায়ার ফাইটিংয়ে বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্স এখন পুরোপুরি সক্ষম। এখানে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফায়ার ফাইটিং যন্ত্রপাতি এবং ফায়ার ফাইটিং কর্মী রয়েছেন। প্রতিটি দোকানের মালিক ও কর্মীদের পালা করে আমরা প্রতি সপ্তাহে ফায়ার ফাইটিং প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। দোকানগুলোতে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র রাখা বাধ্যতামূলক করেছি। দেখা যায়, ছোটোখাটো আগুন আমরা নিজেরাই নিভিয়ে ফেলতে সক্ষম।  
অগ্নিনির্বাপণ মহড়ায় বসুন্ধরা গ্রুপের বিভিন্ন ইউনিটের ফায়ার বিভাগের প্রতিনিধিরা।  ছবি: ডি এইচ বাদলতেজগাঁও ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার ফয়সাল উর রহমান বলেন, এখানকার অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা যথেষ্ট ভালো। তবে সবসময়ই উন্নতির কিছু জায়গা থাকে। তাই আমরা সবসময় অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করার তাগিদ দিয়ে থাকি। এখানে শপিং মল খোলা থাকবে এমন একদিন মহড়া করতে হবে। তাহলে সত্যিকার আগুন লাগার সময়ের বিষয়ে একটা ধারণা পাওয়া যাবে।
 অগ্নিনির্বাপণ মহড়ায় বক্তব্য রাখছেন বসুন্ধরা গ্রুপের কমকর্তারা।  ছবি: ডি এইচ বাদলমহড়ার জন্য বসুন্ধরা কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়ে ফায়ার সার্ভিসের এ কর্মকর্তা বলেন, এ ধরনের আয়োজনের জন্য কর্তৃপক্ষকে আমরা ধন্যবাদ জানাই। এর ফলে অন্যরাও বাধ্যতামূলক এ ফায়ার ড্রিল করার জন্য উৎসাহিত হবে।  

মহড়ায় আরও উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা সিটি ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের ঊর্ধ্বতন নির্বাহী পরিচালক (হিসাব ও অর্থ) এবং ইনচার্জ শেখ আব্দুল আলিম, নির্বাহী পরিচালক (মেকানিক্যাল) মাহবুব মোর্শেদ খান।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৯
এসএইচএস/আরআইএস/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।