ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

খুঁটি হেলে পড়া নিয়ে পিডিবি-সিসিক রশি টানাটানি!

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২০৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৯
খুঁটি হেলে পড়া নিয়ে পিডিবি-সিসিক রশি টানাটানি!

সিলেট: বৈদ্যুতিক খুঁটি হেলে পড়ায় অন্ধকারে ডুবেছে সিলেট নগরের একাংশ। কিন্তু এ নিয়ে মাথা ব্যথা নেই বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি)। তারা সিসিকের অপরিকল্পিত কাজকে দোষারূপ করে সংস্কার বন্ধ রাখে। ফলে নগরের একাংশ অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়। 

সোমবার (১৪ অক্টোবর) বিকেলে নগরের বারুতখানা পয়েন্ট সংলগ্ন এলাকায় ট্রান্সফরমারসহ বৈদ্যুতিক লাইন নিয়ে দু’টি খুঁটি হেলে পড়ে। এতে এলাকার লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়।


 
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) উন্নয়ন কাজের অংশ হিসেবে রাস্তা প্রশস্তকরণে ড্রেন খনন করা হচ্ছিল। অপরিকল্পিতভাবে ড্রেন খনন করার কারণে খুঁটি দু’টি ট্রান্সফরমার ও বিদ্যুৎ লাইন নিয়ে হেলে পড়ে। এ কারণে বিকেল থেকে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েন ব্যস্ততম জিন্দাবাজার, বারুতখানা, তাঁতীপাড়া, হাওয়াপাড়া, জেলরোডসহ আশপাশের হাজার হাজার গ্রাহক।
 
এসময় দুর্ঘটনার আশঙ্কায় জিন্দাবাজার-বারুতখানা সড়কে যানচলাচল চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। প্রায় ৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন থাকার পর সিসিকের একটি ক্রেন এনে তাতে ভর করে রাখা হয় খুঁটি দু’টি।
 
এ বিষয়ে বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ সিলেট-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল কাদির বাংলানিউজকে বলেন, দু’টি ট্রান্সফরমারসহ বৈদ্যুতিক লাইন নিয়ে দু’টি পুল (খুঁটি) পড়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। সিসিক কর্তৃপক্ষ আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ না করে নিজেদের মত কাজ করছে। অথচ লোকজন মনে করছে, আমরা লোডশেডিং করাচ্ছি। তারপরও লোকজন পাঠিয়েছি মেরামতে।  
 
ব্যবসায়ী সাদেক আহমদ বলেন, বৈদ্যুতিক খুঁটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রেখে কাজ করা উচিত হয়নি। তাতে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকে যায়। খুঁটি হেলে পড়ায় রাত ৯টা পর্যন্ত সংস্কার কাজ চললেও বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।

সিসিকের ওই কাজের ঠিকাদার আব্দুন নুর চৌধুরী বলেন, খুঁটি সরানোর জন্য বিদ্যুৎ বিভাগকে সিসিক থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। তারপরও যখন কাজ হয়, তখন সতর্কতার সঙ্গেই করা হয়েছে। কিন্তু আটকে রাখা পানি হঠাৎ খুঁটির গোড়ার মাটি সরিয়ে নেওয়ায়, ট্রান্সফরমার নিয়ে খুঁটি ঝুলে যায়। অবশ্য রাতে বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন এসে সংস্কার কাজ চালাচ্ছেন।
 
সিসিকের নির্বাহী প্রকৌশলী আলী আকবর বাংলানিউজকে বলেন, আমরা ঠিকাদারকে বলেছি, গ্যাস রাইজার ও বৈদ্যুতিক খুঁটির কাছের মাটি না কাটতে। ভুলে কেটে ফেলেছিল শ্রমিকরা। এজন্য ঠিকাদার অনুতপ্ত। তবে দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছি, এটা সত্যি। এ নিয়ে মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) ঠিকাদারদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক আহ্বান করা হয়েছে। যাতে পরবর্তীতে কাজে কোনো ধরনের গাফিলতি না হয়।

এদিকে, রাত ৯টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ওই ফিডারের আওতাধীন এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ ছিল।

বাংলাদেশ সময়: ২২০১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৯
এনইউ/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।