ঢাকা, মঙ্গলবার, ৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

চালক ছাড়াই ঈশ্বরদী থেকে ট্রেন গেল রাজশাহী!

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৯
চালক ছাড়াই ঈশ্বরদী থেকে ট্রেন গেল রাজশাহী!

পাবনা: প্রধান চালক ছাড়াই ঈশ্বরদী থেকে পাবনা হয়ে রাজশাহী গেল ‘পাবনা এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি।

রোববার (১৩ অক্টোবর) চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটে ঈশ্বরদীতে। এ ঘটনায় তিনজনকে তাৎক্ষণিকভাবে বরখাস্ত করেছে রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় কর্তৃপক্ষ।

এছাড়া চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

তারা হলেন- ঈশ্বরদী রেলওয়ে শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ‘পাবনা এক্সপ্রেস’ ট্রেনের চালক লোকো মাস্টার (এলএম) আসলাম উদ্দিন খান মিলন, একই কমিটির যুগ্ম সম্পাদক ও ওই ট্রেনের সহকারী লোকো মাস্টার (এএলএম) আহসান উদ্দিন আশা এবং ট্রেনের পরিচালক (গার্ড) আনোয়ার হোসেন।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, ‘পাবনা এক্সপ্রেস’ ট্রেনের চালক (এলএম) আসলাম উদ্দিন খান মিলন শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক হওয়ায় তিনি নিজে ট্রেনে না উঠে তার সহকারী আহসান উদ্দিন আশাকে দিয়ে রোববার ট্রেনটি ঈশ্বরদী থেকে পাবনা হয়ে রাজশাহী পাঠান। ঘটনাটি ট্রেনের গার্ড জানলেও তিনি রেল কর্তৃপক্ষের কাউকে না জানিয়ে সহকারী এলএমকে নিয়ে ট্রেনটি পরিচালনা করেন। এ খবর জানার পর বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা (ডিটিও) আব্দুল্লাহ আল-মামুন ট্রেনের গার্ডকে এবং বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী (ডিএমই লোকো) আশিষ কুমার চক্রবর্তী চালক ও সহকারী চালককে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেন।

পাকশী বিভাগীয় রেলের এই দুই কর্মকর্তা বলেন, ট্রেন সময়মত না ছাড়লেও একজন পূর্ণাঙ্গ চালক (এলএম) ছাড়া কোনো ট্রেন চালানোর সুযোগ রেলওয়েতে নেই। কিন্তু এমন ঘটনা রোববার ‘পাবনা এক্সপ্রেস’ ট্রেনে ঘটেছে। চালক ছাড়া ট্রেনটি রাজশাহীতে পৌঁছার পর রেলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জানতে পেরে তাৎক্ষণিকভাবে ‘পাবনা এক্সপ্রেস’ ট্রেন থেকে এ তিনজনকে অব্যাহতি দিয়ে অন্য চালক ও গার্ডকে দিয়ে ফিরতি ট্রেন পাঠান পাবনা-ঈশ্বরদীতে।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, ‘পাবনা এক্সপ্রেস’ ট্রেন ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন স্টেশন থেকে প্রতিদিন মাঝগ্রাম জংশন, দাশুড়িয়া, টেবুনিয়া স্টেশন হয়ে প্রথমে পাবনা স্টেশনে যায়। পাবনা থেকে ঈশ্বরদী বাইপাস স্টেশন হয়ে রাজশাহী যায়, ফিরতি সময়ে রাজশাহী স্টেশন থেকে পাবনা হয়ে ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনে ফিরে আসে ট্রেনটি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি রেল সূত্র জানায়, নিয়ম না মেনে প্রায়ই এই ট্রেনের ড্রাইভার ও রেল শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক আসলাম উদ্দিন খান মিলন বাইপাস স্টেশন থেকে ট্রেনে ওঠেন। আবার মাঝে মধ্যেই তিনি তার সহকারীকে দিয়ে ট্রেন রাজশাহীতে পাঠিয়ে থাকেন।

এদিকে, ফিরতি ট্রেনের যাত্রীরা এমন ঘটনা শুনে আতঙ্কিত ও বিষ্ময় প্রকাশ করেন। তারা বাংলানিউজকে বলেন, এমন ঘটনা কিভাবে ঘটতে পারে। ট্রেনের চালক দায়িত্ব অবহেলা করে যাত্রীদের হুমকির মুখে রেখে আরাম করে। এই চালকসহ যারা এই ট্রেনের দায়িত্বে ছিলেন তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক এবং বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। আর ভবিষতে যাতে এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে সেজন্য সংশ্লিষ্ট রেলের কর্মকর্তাদের সুদৃষ্টি কামনা করেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৯
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।