ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

প্রকৌশল গবেষণা কাউন্সিল আইন অনুমোদন মন্ত্রিসভায়

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৯
প্রকৌশল গবেষণা কাউন্সিল আইন অনুমোদন মন্ত্রিসভায় মন্ত্রিসভার বৈঠক

ঢাকা: ‘বাংলাদেশ প্রকৌশল গবেষণা কাউন্সিল আইন, ২০০৯’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার (১৪ অক্টোবর) তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
 
পরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।


 
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এ আইনে তেমন কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি। আগের খসড়াই চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
 
তিনি বলেন, এ আইনটি নতুন এবং ধারণাটাও নতুন অর্থাৎ, ইঞ্জিনিয়ারিং ক্ষেত্রে আমাদের কোনো গবেষণাধর্মী প্রতিষ্ঠান ছিল না। কৃষিক্ষেত্রে বা শিল্পক্ষেত্রে থাকলেও প্রকৌশল গবেষণা ক্ষেত্রে নতুন আইন তৈরি করা হয়।
 
আইনে ‘বাংলাদেশ প্রকৌশল গবেষণা কাউন্সিল’ নামে একটি কাউন্সিল থাকবে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এ কাউন্সিলের কাজের মধ্যে জাতীয় প্রয়োজন অনুযায়ী প্রকৌশল বিজ্ঞানের প্রায়োগিত ক্ষেত্র যেমন পূর্ত, যান্ত্রিক ও বৈদ্যুতিকসহ সব ধরনের অবকাঠামো যন্ত্রপাতি মালামালের নকশা প্রণয়ন, উৎপাদন, রক্ষণাবেক্ষণ ও গুণগত মান নির্ধারণ করা।
 
কাউন্সিলের অ্যাপেক্স বডি হিসেবে গভর্নিং বডি থাকবে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এ বডির ব্যবস্থাপনার জন্য একজন চেয়ারম্যান এবং পুরকৌশলবিদ, যন্ত্রকৌশলবিদ, তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশলবিদ, প্রশাসন ও অর্থনীতি বিষয়ক এবং প্রকৌশল ও অন্যান্য শাখা থেকে একজন মিলে পাঁচজনের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে।
 
এছাড়াও ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিউউট থেকে প্রতিনিধি এবং সরকার মনোনীত প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, বেসরকারি প্রকৌশল প্রতিষ্ঠানের একজন প্রতিনিধি এবং যুগ্মসচিব ‌পদমর্যাদার একজন প্রতিনিধিসহ ১০ জনের কমিটি থাকবে।
 
প্রতি তিনমাসে গভর্নিং বডির একটি করে সভা হবে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী চেয়ারম্যান এবং সচিবকে ভাইস চেয়ারম্যান করে একটি উপদেষ্টা পরিষদও থাকবে।
 
এছাড়া আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিশেষজ্ঞ প্যানেল বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দেওয়ার ক্ষেত্রে সুযোগ রাখা হয়েছে।
 
বাতিঘর আইন অনুমোদন
মন্ত্রিসভায় ‘বাংলাদেশ বাতিঘর আইন, ২০১৯’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
 
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ১৯৮৭ সালের একটি পুরনো আইন ‘দ্য লাইটহাউজ অ্যাক্ট, ১৯৮৭’ আপডেট করে মোটামুটি একই রকমের আইন করা হয়েছে। এখানে বড় কোনো পরিবর্তন নেই। ১৯৮৭ সালের প্রেক্ষাপটে ২০১৯ এ এসে পরিবর্তিত হয়ে এসেছে।
 
আইনে নতুন কিছু সংযোজন করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বন্দর’ ও ‘বাতিঘর’ শব্দ যুক্ত করা হয়েছে। যেমন- চট্রগ্রাম, মোংলা ও পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের একটি বাতিঘর থাকবে। ‘বাতিঘর অঞ্চল’ বলতে সীমানাভুক্ত বাতিঘর এলাকা বলা হয়েছে।
 
আইনটি ইংরেজি থেকে বাংলায় অনুবাদ করা হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৯
এমআইএইচ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।