রোববার (১৩ অক্টোবর) দুদক প্রধান কার্যালয়ে কমিশনের অকাল প্রয়াত চারজন কর্মকর্তা-কর্মচারীর স্মৃতির উদ্দেশ্যে এক শোকসভায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ একথা বলেন।
তিনি বলেন, দুদক কর্মকর্তাদের পেশাদারিত্ব প্রশংসাযোগ্য।
‘মানুষের মৃত্যু অবধারিত, তবে তা মেনে নেওয়া কঠিন। প্রতিটি মৃত্যুই আমাদের কিছু শিক্ষা দেয়। কীভাবে দুদকের এসব কর্মকর্তারা সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন আজ তা শুনছি। আসুন আমরা সবাই তাদের মতো সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে পরবর্তী প্রজন্মের ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে কাজ করি। ’
চেয়ারম্যান বলেন, অনেকের ধারণা দুদকে যারা চাকরি করেন তাদের অনেকের যথেষ্ট টাকা-পয়সা, গাড়ি-বাড়ি রয়েছে। কিন্ত আজ আমরা জানছি যে, আমাদের মরহুম পরিচালক আবু সাঈদ ও সহকারী পরিচালক সরদার মঞ্জুর আহম্মদের কোনো অর্থ-বিত্ত বাড়ি-গাড়ি নেই। ওদের সততার কাছে অনেকের ধারণা পরাজিত। এই প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশ কর্মকর্তা-কর্মচারীই সততার সঙ্গে জীবনযাপন করছেন।
তিনি বলেন, আজ যদি মরহুম সাঈদ কিংবা মঞ্জুরের কোটি কোটি টাকা থাকতো তাহলেই বা কী হতো? তাহলে হয়তো তারা অন্যভাবে মূল্যায়িত হতেন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের প্রয়োজনের অতিরিক্তি সম্পদ তার জন্য সত্যিই বোঝা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মৃত্যুর পর এই সম্পদ নিয়েই কলহের সৃষ্টি হয়।
শোকসভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দুদক কমিশনার এএফএম আমিনুল ইসলাম, সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখ্ত, মহাপরিচালক আ ন ম আল ফিরোজ, পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন, উপ-পরিচালক মো. তালেবুর রহমান, মো. রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
গত জুলাই মাস থেকে যে চারজন কর্মকর্তা-কর্মচারী মারা গেছেন তারা হলেন পরিচালক মো. আবু সাঈদ, সহকারী পরিচালক সরদার মঞ্জুর আহম্মেদ, কনস্টেবল মো. আব্দুল জলিল মন্ডল ও কনস্টেবল মো. মজিবুর রহমান ।
বাংলাদেশ সময়: ২১০১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১৯
এসএমএকে/এএ