ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

জি কে বিল্ডার্সের প্রকল্পে ব্যবস্থা নিতে গণপূর্তের চিঠি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৪৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০১৯
জি কে বিল্ডার্সের প্রকল্পে ব্যবস্থা নিতে গণপূর্তের চিঠি জি কে বিল্ডার্সের স্বত্বাধিকারী জি কে শামীম। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে বিভিন্ন অনুশাসন সম্বলিত পরিপত্র জারি করেছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে, ক্যাসিনোকাণ্ডে গ্রেফতার জি কে শামীমের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স জি কে বিল্ডার্সের কার্যক্রম বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়াসহ দ্রুত প্রকল্পের কাজ শেষ করার নির্দেশনা দিয়ে গণপূর্ত অধিদপ্তরকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (৯ অক্টোবর) এ পরিপত্র জারি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

 

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ পরিপত্রের মাধ্যমে মোট ১৪টি অনুশাসন অনুসরণের জন্য আওতাধীন সংস্থাগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, চিঠির মাধ্যমে গণপূর্ত অধিদপ্তরের আওতাভুক্ত প্রকল্পগুলোতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স জি কে বিল্ডার্সের মাধ্যমে একক/যৌথভাবে বাস্তবায়নাধীন কার্যক্রমের ক্ষেত্রে পিপিএ ২০০৬ ও পিপিআর ২০০৮’র সংশ্লিষ্ট ধারা এবং বিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়ে দ্রুত প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

পরিপত্রে জারি করা ১৪টি অনুশাসন হলো- নতুন প্রকল্প অনুমোদনের ক্ষেত্রে যোগ্যতাসম্পন্ন তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে বিস্তারিত সম্ভাব্যতা সমীক্ষা অর্থাৎ পরিবেশগত, সামাজিক ও কারিগরি প্রভাব এবং অর্থনৈতিক বিশ্লেষণসহ আনুষঙ্গিক কার্যক্রম আবশ্যিকভাবে সম্পন্ন করতে হবে। এ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় দলিলাদি সংযুক্ত করে ডিপিপি মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে হবে। স্থাপনা নির্মাণ সংক্রান্ত প্রকল্পগুলোতে কারিগরি পরীক্ষা; যেমন- মাটি পরীক্ষা, সাইট নির্বাচন সংক্রান্ত তথ্যাদি ডিপিপিতে সংযুক্ত করতে হবে। বিশেষ কারণ ছাড়া চলমান প্রকল্পের ব্যয়, মেয়াদ বৃদ্ধি, আন্তঃঅঙ্গ সমন্বয় ও প্রকল্প সংশোধন করা যাবে না। জরুরি প্রয়োজন হলে মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তার মাধ্যমে সরেজমিন প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।

এতে আরও বলা হয়, ড্রয়িং ও ডিজাইন চূড়ান্ত করে মোট ব্যয় প্রাক্কলনের পর প্রকল্প অনুমোদনের জন্য প্রক্রিয়াকরণ করতে হবে। এর আগে কোনো অবস্থাতেই ডিপিপি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো যাবে না। প্রকল্পের আইটেমের পরিমাণ ও আইটেম অনুযায়ী প্রাক্কলিত ব্যয়ের সঠিকতা-যথার্থতা সংস্থা প্রধান এবং তার মনোনীত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার মাধ্যমে যৌথভাবে প্রত্যয়িত হতে হবে। প্রাক্কলনের সঙ্গে দর ও বাজার মূল্যের অসামঞ্জস্য থাকলে সংস্থা প্রধান মনোনীত কর্মকর্তা ব্যক্তিগতভাবে দায়ী থাকবেন এবং তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।

ভেরিয়েশন, পুনর্কার্যাদেশ, অতিরিক্ত কার্যাদেশসহ এ ধরনের সব কার্যক্রম নিরুৎসাহিত করতে হবে। ক্ষেত্র বিশেষে যৌক্তিক কারণে গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের ভেরিয়েশন, পুনর্কার্যাদেশ, অতিরিক্ত কার্যাদেশ দেওয়ার ক্ষেত্রে পিপিআর ৭৭, ৭৮, ৭৯ ধারা যথাযথভাবে প্রতিপালন করতে হবে এবং এ সংশ্লিষ্ট প্রস্তাবে প্রত্যয়ন সংযুক্ত থাকা বাধ্যতামূলক। বিদ্যমান বিধি-বিধান অনুসারে গঠিত অধিদপ্তর/সংস্থার পণ্য সংশ্লিষ্ট সেবা, কার্য ক্রয় সংক্রান্ত কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি নিয়মিতভাবে পুনর্গঠন করতে হবে। প্রকল্পের আওতাভুক্ত কাজ/ক্রয়গুলোর চুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে আবশ্যিকভাবে মন্ত্রণালয়কে জানাতে হবে।

এছাড়া, প্রতিটি প্রকল্পের পরিচালকেরা সংশ্লিষ্ট এলাকায় সার্বক্ষণিকভাবে অবস্থান করবেন এবং সংস্থা প্রধানরা বিষয়টি নিশ্চিত করবেন। সংস্থা প্রধানসহ মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের সিনিয়র কর্মকর্তারা নিয়মিত প্রকল্প এলাকা আনুষ্ঠানিক/অনানুষ্ঠানিক/ আকস্মিক পরিদর্শন করবেন এবং চিহ্নিত সুনির্দিষ্ট অনিয়মসহ মন্ত্রণালয়/সংস্থায় প্রতিবেদন পাঠাবেন। ক্রেতার মাধ্যমে যোগ্যতাসম্পন্ন সরবরাহকারী বা ঠিকাদারের তালিকা সংরক্ষণ করতে হবে। প্রকল্প সাইটে অর্ডার বুকসহ প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজের সব নথি/ডকুমেন্ট যথাযথভাবে সংরক্ষণ করতে হবে। প্রকল্প সাইটের দৃশ্যমান জায়গায় সব তথ্য সম্বলিত সাইনবোর্ড স্থাপন করতে হবে এবং প্রকল্পের আওতায় নির্মাণাধীন/নির্মিত/নির্মিতব্য স্থাপনা/অবকাঠামোগুলোর উপকরণের গুণগত মান উপযুক্ত ল্যাবরেটরি থেকে নিয়মিত পরীক্ষা করতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১৯ 
জিসিজি/একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।