বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) টোকিওর তাকানাওয়ায় অবস্থিত গ্রান্ড প্রিন্স হোটেলে বাংলাদেশের মানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
টোকিওর বাংলাদেশ দূতাবাস এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বাংলাদেশ সরকার ও টোকিওর বাংলাদেশ দূতাবাসের সহযোগিতায় আই এম জাপান নামের একটি প্রতিষ্ঠান এই সেমিনারের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে মূল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমেদ। সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা ও আই এম জাপান কোম্পানির প্রেসিডেন্ট সাদানোরি সাকামোতো।
সেমিনারে ইমরান আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে ধাবমান আর আমাদের এই উন্নয়নের সক্রিয় অংশীদার জাপান।
জাপান-বাংলাদেশের মধ্যে বিদ্যমান গভীর সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, জাপানে বাংলাদেশের দক্ষ কর্মীদের জন্য উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। এই বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশ সরকার জাপানসহ বিশ্বের অন্য দেশে নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিতকরণে ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনায় নানা পদক্ষেপ নিয়েছে।
রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে। তার সাম্প্রতিক জাপান সফরে জাপানি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার ফলশ্রুতিতে গত ২৭ আগস্ট তারিখে বাংলাদেশ থেকে দক্ষ কর্মী নিয়োগের বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা স্মারক সই হয়েছে, যা বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যক দক্ষ লোকবল জাপানে নিয়োগে সম্ভাবনার নতুন দ্বার উম্মোচন করেছে।
রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের দক্ষ মানবসম্পদ জাপানে নিয়োগে জাপানি প্রতিষ্ঠানগুলোর সহযোগিতা কামনা করেন।
সেমিনারে মাচিদা হাসপাতালের প্রধান পরিচালক কেইসুকে ইরাকো চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের জন্য মানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক উপস্থাপনা করেন। এছাড়া আই এম জাপানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কিয়োই ইয়ানাগিসাওয়া টেকনিক্যাল ইন্টার্ন ট্রেনিং প্রোগ্রাম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন। পরে, জাপানে কর্মরত বাংলাদেশি টেকনিক্যাল ইন্টার্নরা তাদের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন।
সেমিনারটি আয়োজনে সহযোগিতা করে জাপান বাংলাদেশ কমিটি ফর কমার্শিয়াল অ্যান্ড ইকোনমিক কোঅপারেশন, জাপান চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এবং ন্যাশনাল ফেডারেশন অব স্মল বিজনেস অ্যাসোসিয়েশন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১৯
টিআর/একে