ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

আবরার হত্যার ঘটনায় কূটনীতিকদের মন্তব্য অনভিপ্রেত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১৯
আবরার হত্যার ঘটনায় কূটনীতিকদের মন্তব্য অনভিপ্রেত

ঢাকা: বাংলাদেশ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ড দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এ নিয়ে বিদেশি কূটনীতিকদের কথা বলার কোনো অধিকার নেই বলে উল্লেখ করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে চট্টগ্রাম বিভাগ সাংবাদিক ফোরামের ঢাকা শাখার দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।  

হাছান মাহমুদ বলেন, আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ড নিয়ে কয়েকটি বিদেশি মিশন উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

এদের মধ্যে যুক্তরাজ্য অন্যতম। আমার প্রশ্ন, যুক্তরাজ্যে প্রতিবছর স্কুলে গুলিবিদ্ধ হয়ে অসংখ্য শিক্ষার্থী মারা যায়, পাকিস্তানে শিয়া মসজিদে হামলা হয়, অতীতেও বাংলাদেশে অসংখ্য ঘটনা ঘটেছে, তখন তো তারা উদ্বেগ প্রকাশ করতে আসেননি। বরং যুক্তরাজ্যে গুলিতে নিহত শিক্ষার্থীদের বিষয়ে আমি আমার দলের পক্ষ থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করছি।

বিদেশি কূটনীতিকদের বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ না করার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা আশা করব বিদেশি কূটনীতিকরা তাদের সীমারেখা মেনেই ভবিষ্যতে বক্তব্য রাখবেন। কূটনৈতিক শিষ্টাচার যেন লঙ্ঘন না হয়, এ বিষয়টি মাথায় রেখে তাদের বক্তব্য দেওয়ার অনুরোধ জানাবো। এ ঘটনাটি (ফাহাদ হত্যা) অভ্যন্তরীণ, এতে বিদেশিদের কথা বলার অধিকার নেই।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর পূর্বেকার অব্যবস্থাপনার কথা উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, অতীতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হত্যাকাণ্ড হলেও জিয়াউর রহমান তাদের মাফ করেছেন। বিভিন্ন সময়ে সেশনজটে চার বছরের কার্যক্রম শেষ হয়েছে সাত বছরে। কিন্তু আমাদের সময় উন্নয়ন ত্বরান্বিত হচ্ছে। এখন চার বছরেই প্রত্যেক শিক্ষার্থী তাদের কোর্স সম্পন্ন করে। এছাড়া বর্তমান সময়ে যে কোনো হত্যাকাণ্ডে যারা অপরাধী তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি যেন হয়, সে ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী নিজেই উদ্যোগ গ্রহণ করেন। একই সঙ্গে  শিক্ষাঙ্গনের নাম ভাঙিয়ে কেউ যেন অপরাজনীতি করতে না পারে, নিজের স্বার্থ হাসিল করতে না পারে, সে বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তল্লাশি করা হবে।

হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা দীর্ঘ ১১ বছর ক্ষমতায় আছি। আমরা জানি আমাদের সংগঠনের মধ্যেই কিছুটা আবর্জনা হয়েছে। তা যেমন পরিষ্কার করেছি, তা অব্যাহত আছে, এবং ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে। অপরাধী যেই হোক না কেন, যে দলেরই হোক না কেন তাদেরকে ছাড় দেওয়া হবে না।

এছাড়াও সম্প্রতি ভারতে গ্যাস রপ্তানি বিষয়ক সমঝোতা স্মারক প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, আমরা শুধুমাত্র ত্রিপুরায় এলপিজি গ্যাস রপ্তানি করতে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছি। তরল গ্যাস আমদানির পর নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে তারপরে আমরা রপ্তানি করব। এটি দেশের উন্নয়নের স্বার্থেই। এছাড়া ভারত বাংলাদেশকে যে ২০টি বর্ডার গ্রান্ট দিচ্ছে তা এককালীন, এবং আমাদের সম্পত্তি। এ নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই।  

সভায় সাংবাদিকদের নতুন ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন প্রসঙ্গেও কথা বলেন হাছান মাহমুদ। তিনি জানান, ওয়েজ বোর্ড নিয়ে কাজ চলছে। খুব দ্রুতই তা বাস্তবায়ন করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন প্রমুখ।  এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মাহমুদুর রহমান খোকন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১৯ 
এইচএমএস/এইচজে 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।